Also read in

Hearing in HPC, Panchgram on 5th July.

পাঁচগ্রাম কাগজ কলে যে সকল কর্মীর অনাহারে-অর্ধাহারে বা চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে তাদের আত্মীয় স্বজনদের এবং অবসরপ্রাপ্ত বা মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিদের দাবি দাওয়া সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচগ্রাম কাগজ কলে আসছেন রাজ্যের শ্রম মন্তকের কমিশনার নারায়ণ কোঁয়র। আগামী ৫ জুলাই, শুক্রবার কাগজ কলের প্রশাসনিক ভবনে এই সংক্রান্ত শুনানি গ্রহণ করবেন তিনি। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই শুনানি গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে কাগজ কলের দুটি স্বীকৃত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মৃত কর্মচারীদের পরিবারের লোকদের ওই দিনের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর পাঁচগ্রাম কাগজ কল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কর্মচারীদের বেতন ও বন্ধ হয়ে যায়। নিদারুণ অর্থ সংকটে অনাহারে-অর্ধাহারে এবং চিকিৎসার অভাবে কাছাড় কাগজ কলের ২২জন কর্মচারীর মৃত্যু হয়। ইউনিয়নের তরফ থেকে মৃত কর্মচারীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে, সিনিয়র চার্জমান অসিত পন্ডিত, চার্জ ম্যান কুশিরাম নমঃশূদ্র, তরুণ কুমার বর্মন, শিউ শংকর মিশ্র, নাসির উদ্দিন বড়ভূঁইয়া, সঞ্জয় যাদব, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, দেবাশিস সিনহা, বি দাস, তৈবুর রহমান লস্কর, আজির উদ্দিন বরভূঁইয়া, সুদীপ চক্রবর্তী, এন এস সিংহ, রহমত আলী, গৌরী ঘোষাল, শ্রাবণী চক্রবর্তী, বীরেন্দ্র চন্দ্র নাথ, নুর উদ্দিন মজুমদার, সুজিত কুমার দে, হিমাংশু ঘোষ, জয়েন্দ্র কেমপ্রাই, পার্থ দেব। ২০-০৭-২০১৫ তারিখ থেকে ৩০-০৪-২০১৯ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে এসব কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।

হতভাগ্য কর্মচারীদের পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পায় এই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোক এবং হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশনের কর্মচারিদের সামনে এ ব্যাপারে প্রকাশ্য শুনানি হবে। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের তথ্যাদি নিয়ে ঐদিন পাঁচগ্রাম কাগজ কলের প্রশাসনিক ভবনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজদীপ রায় সহ আসামের মন্ত্রী-সাংসদরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরবিন্দ সাওন্তের সাথে দেখা করে আসামের কাগজ কল দুটি পুনরুজ্জীবনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন এবং আশ্বাসও পেয়েছিলেন মন্ত্রীর কাছ থেকে। কিন্তু পরবর্তীতে মন্ত্রীর সংসদে প্রদত্ত বক্তব্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।

Comments are closed.