Also read in

Sulekha, Seema, Minara Begum and her 10-year-old Sahanara released from Silchar detention camp

ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পেলেন সুলেখা, সীমা, মিনারা বেগম ও তার দশ বছরের মেয়ে শাহানারা

শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পেলেন তিনজন মহিলা। ডিটেনশন ক্যাম্পে দু বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আজ তাদের মুক্তি মিলেছে। এই তিন মহিলা হলেন সুলেখা দাস, সীমা বর্ধন, মিনারা বেগম ও তার কন্যা শাহানারা বেগম।

এদের মধ্যে সুলেখা দাসের ডিটেনশন ক্যাম্পে দু’বছর অতিক্রান্ত হয়েছে গত ১৮ এপ্রিল। সীমা বর্ধনের ইতিমধ্যেই তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আর এদের দুজনকে ছাড়িয়ে দশ বছর ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে ছিলেন মিনারা বেগম ও তার কন্যা শাহানারা বেগম।

উধারবন্দের লাঠিগ্রামের মিনারা বেগম ২০১০ সালে প্রথমে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ছিলেন। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোকরাঝাড়ে। সবশেষে শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।২০০৯ সালের আগস্ট মাসে মিনারা বেগমকে যখন বিদেশি বলে ঘোষণা করা হয় তখন তার সঙ্গে ছিল ১৫ দিনের শিশু শাহানারা বেগম। তখন থেকেই কোকরাঝাড় ডিটেনশন ক্যাম্পে মার সঙ্গে ছিল এই শিশু। আজ সে দশ বছরের হয়ে গেছে। বাবা হারা মিনারা বেগম নিজের নিরক্ষরতার জন্য ১৯৬৫ সালের লিগেসি ডাটা থেকে শুরু করে বাকি কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আইনজীবিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জানা যায়।স্বামী রহিম উদ্দিনও দিনমজুর এবং তিনিও ঠিকমতো প্রমান পত্র জমা দিতে না পারার জন্য মিনারাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া টাকার অভাবেও তার স্বামী এর পরও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেননি।

অন্যদিকে উধারবন্দের লাঠিগ্রামের সুলেখা দাসকে গত ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল উধারবন্দ থানা থেকে পরিবারের সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয় এনআরসির বিষয়ে কথাবার্তা বলার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এরপর সুলেখা দাসের ঠিকানা হয়ে উঠল ডিটেনশন ক্যাম্প। আজ এতদিন পরে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়ায় তার পরিবারের সবাই খুব খুশি।

এদিকে সীমা বর্ধনের কাহিনী অন্যরকম। লক্ষ্মীপুর থানার জয়পুর প্রথম খন্ড গ্রামের সীমা বর্ধনের বাবা বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন ১৯৬৫ সালে। এরপর থেকে ত্রিপুরায় থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদন না করায় সীমা বর্ধনকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করা যায়নি। আর এরই ফলস্বরূপ ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিলচর ফরেনার্স ট্রাইবুনাল থেকে সীমাকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাকে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত না হয় তারই পরিপ্রেক্ষিতে এধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে এ সিদ্ধান্তে তাদের পরিবারের লোকজন খুবই খুশি। এতদিন পর আপনজনকে কাছে পেয়ে।

Comments are closed.