The burnt body of newly married bride recovered in Kazidahar; father and mother in law detained.
সোনাই সমষ্টির কাজীডহর এলাকায় আফজল হুসেন লস্করের নববধূ গুলশানা বেগম লস্কর(২০)’র অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ির পেছনে। বাড়ির পিছনে আবর্জনা ফেলার স্থান থেকে উদ্ধার হয় লাশ। গুলশানের বাবার বাড়ির অভিযোগে সোনাই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূর হত্যা হয়েছে বলে সন্দেহ করে, ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের বাথরুমের পাশে রক্তাক্ত কাপড় পায়।
বুধবার কাকভোরে সোনাই থানার কাজিডহর দ্বিতীয় খন্ডে বিয়ের মাত্র সাত মাসের মাথায় গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়।মৃত গুলশানের বাবার বাড়ি ভাগা বাজার এলাকায়।
সকাল এগারোটা নাগাদ ম্যাজিস্ট্রেট দীপময় ঠাকুরিয়ার উপস্থিতিতে সোনাই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
কয়েক মাস আগে গুলশানা বেগমের সঙ্গে আফজল হুসেন লস্করের বিবাহ হয়েছিল। পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ করেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। পিতা নুর ইসলাম লস্কর উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন থেকে তাদের মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে স্বামীর পরিবারের লোকেরা। গুলশানের স্বামী, দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে বধূকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। এনিয়ে পরিবারের তরফ থেকে সোনাই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ এই এফআইআরের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করে গুলশানের শশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে। স্বামী ও দেবরকে খোঁজে পায়নি পুলিশ, এরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
Comments are closed.