Also read in

The Poushmela begins, festive mood in Katlicherra.

সূচনাতেই জমে উঠেছে কাটলিছড়ার পৌষমেলা। মানুষের স্বতঃফূর্ত অংশ গ্রহণে মনে হচ্ছে তারা যেন মুখিয়েই ছিলেন এই আনন্দযজ্ঞে সামিল হতে। পিঠেপুলি,চুঙাপিঠা, আলপনা প্রতিযোগিতা,ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ছাড়াও হেরিটেজ ভিলেজ,মেড়ামেড়ির ঘর ইত্যাদি দর্শকদের মনকে আন্দোলিত করেছে। উপজাতি নৃত্য যেমন সেকাচপ,রিয়াং,মিজো প্রভৃতি নৃত্যর পাশাপাশি অসমিয়া নৃত্য,মনিপুরি নৃত্য, ত্রিপুরি নৃত্য মানুষ উপভোগ করেছেন।
কাটলিছড়ার পৌষমেলা যে এভাবে সব শ্রেণির মানুষকে মাতিয়ে তুলবে তা উদ্যোক্তাদের হয়ত ধারণার বাইরে ছিল।

১২জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করে পৌষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়। তিনি শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে পৌষমেলাকে সফল করার আহ্বান জানান। তিনি যুব সম্প্রদায়কে নেশা থেকে মুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে সামাজিক সুস্থ পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার পরামর্শ দেন।

পৌষমেলায় দেয়াল পত্রিকা নাড়ীরটানে উন্মোচন করেন প্রবাহ সম্পাদক আশিসরঞ্জন নাথ। উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোক গবেষক অমলেন্দু ভট্টাচার্য,সাংবাদিক কবি অতীন দাশ,অধ্যাপক দেবজিৎ দে,অধ্যক্ষ দীপক কান্তি আইচ,রাজকুমার দাস ও অন্যান্যরা। দেয়াল ম্যাগাজিনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতীন দাশ,অমলেন্দু ভট্টাচার্য,অধ্যাপক দেবজিৎ দে।

অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি লোক সংস্কৃতি গবেষক অমলেন্দু ভট্টাচার্য পৌষমেলার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, পৌষমেলা খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের সঙ্গে একাত্ম পর্ব। এখানে কোনও কৃত্রিমতার স্থান নেই। প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত এই মেলায় মানুষ আনন্দে মেতে উঠেন। অনাবিল আনন্দ দেয় এই জাতীয় মেলা।

প্রধান অতিথি কবি সাংবাদিক অতীন দাশও পৌষমেলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। কাটলিছড়ার মত প্রান্তিক অঞ্চলে পৌষমেলার মত ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তাছাড়া বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ দীপককান্তি আইচ,প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ সমরবিজয় নাথ মজুমদার,অধ্যাপক দেবজিৎ দে,রাজকুমার দাস প্রমুখ। সূচনা পর্ব থেকেই মানুষের ঢল উদ্যোক্তাদের প্রেরণা জুগাতে শুরু করেছে।

হাইলাকান্দি জেলায় এই প্রথম পৌষমেলার আয়োজন হল কাটলিছড়ায়, চলবে রবিবার পর্যন্ত।

Comments are closed.