Also read in

Work started in Hailakandi to prevent river erosion utilising the new technology.

অসমের তেষট্টিটি বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে বুধবার হাইলাকান্দি জেলাতেও একযোগে জল সম্পদ বিভাগের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু হল । এদিন হাইলাকান্দির নালুবাক এবং কাটলিছড়ার গাঞ্জাখাউরিতে
আনুষ্ঠানিকভাবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেন দুই বিধায়ক যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন লস্কর ও সুজাম উদ্দিন লস্কর।

একইভাবে এদিন রাজ্যের ৬৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে একই সাথে ১০৩ টি প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিক সুচনা হয়। কাটলিছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের রংপুর চতুর্থ খন্ড গাঞ্জাখাউরি এলাকায় এদিন নাবার্ড ব্যাঙ্কের ঋণ সাহায্য পুঁজির অধীনে তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার কাটাখাল নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর। এ উপলক্ষে সমাজসেবী ইবাদুল চৌধুরীর পৌরোহিত্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর বর্তমান বিজেপি সরকারের কাজের প্রশংসা করে বলেন, এ সরকার বিরোধী দলের বিধায়কদেরও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে । পুর্বতন সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে নানা প্রকল্প নেওয়া হলেও উন্নয়ন চোখে পড়ে নি। কিন্ত বর্তমান সরকারের আমলে এম এস ডি পি কর্মসুচির অধীনে চোখে পড়ার মতো বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কৃষ্ণপুর জয়মঙ্গল হাইস্কুলে এক কোটি আটান্ন লক্ষ টাকা ব্যায়ে ছাত্রী নিবাস হচ্ছে। এভাবে অসংখ্য কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।

এদিনের সভার শুরুতে জল সম্পদ বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সুধেন্দু দাস, কনিষ্ঠ বাস্তুকার সঞ্জয় গোয়ালা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, গাঞ্জাখাউরি এলাকার ওই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নাবার্ডের ঋন সাহায্য পুঁজির অধীনে তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে সরকার। বিধায়ক সুজাম উদ্দিনের বিশেষ তৎপরতায় প্রকল্পটি মঞ্জুরি পেয়েছে। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের ওই কাজে এবার পাথরের পরিবর্তে পিসিসি ব্লক ব্যাবহার করা হবে, যা বরাক উপত্যকায় প্রথম বলে জানান সঞ্জয় গোয়ালা। তিনি বলেন, রাজ্যে জল সম্পদ বিভাগের অধীনে ১০৩ টি প্রকল্পের জন্য ৩৮৯.১৯ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।

সভায় এলাকাবাসীর পক্ষে নুরুল হোসেন মজুমদার, ইবাদুল চৌধুরী প্রমুখ তাদের ভাষনে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ আরো সম্প্রসারণের দাবি জানান। তারা বলেন, রংপুর চতুর্থ খন্ডের টুকেরগ্রাম, বড়কিচর, এলাকাতেও ব্যাপক হারে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিধায়ক সুজাম উদ্দিন নদী ভাংগন প্রতিরোধের কাজ টুকেরগ্রাম এলাকাতেও সম্প্রসারণের জন্য প্ল্যান এস্টিমেট তৈরি করতে বিভাগীয় বাস্তুকার দের আহবান জানান। এদিকে এদিন হাইলাকান্দির নালুবাকে এস ডি আর এফ রাজ্য দুর্যোগ সাহায্য পুঁজির অধীনে নদী ভাংগন প্রতিরোধের কাজের সূচনা করেন হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর।

Comments are closed.

error: Content is protected !!