
Zonal Screening Discharge board has been formed in Cachar District to handle incoming passangers
অসমের বাইরের রাজ্য থেকে ঘরে ফেরার যাত্রীদের সংখ্যার কথা মাথায় রেখে স্ক্রিনিংয়ের জন্য জোনাল স্ক্রীনিং ডিসচার্জ বোর্ড নামে জেলাস্তরে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাইরের রাজ্য থেকে যারা আসছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এতদিন গুয়াহাটির বিশেষ মেডিক্যাল দলের অনুমতির প্রয়োজন ছিল। যাত্রীসংখ্যার দিকে নজর দিয়ে এ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্বের বাইরের রাজ্য থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীদের লালারস পরীক্ষা এবং সরকারি কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা শাসক সুমিত সত্যওয়ান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক সুমন চৌধুরী এ কথা জানিয়ে আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেননি। এ মাসের প্রথম থেকেই যাত্রীরা অসমে আসতে শুরু করেন। এখানে উল্লেখ্য, মাসের প্রথম থেকে আন্তঃরাজ্য পরিবহন সেবা চালু করা হয়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলার যারা বাইরের রাজ্য থেকে আসছেন তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদেরকে সরকারি কোয়ারান্টিনে পাঠানোর দায়িত্ব বর্তেছে কাছাড় জেলার উপর। বরাক উপত্যকার নোডাল ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে কাছাড় জেলাকে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
রাজস্থানের আজমির থেকে বাসে করে যাত্রীরা বরাক উপত্যকায় আসার পর দশজনের কোভিড ১৯ ধরা পড়ায় ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে।
এই অবস্থায় বর্তমানে উত্তর-পূর্বের বাইরে থেকে আসা সব যাত্রীদের সরকারি কোয়ারান্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদেরকে জেলায় ঢোকার আগেই লালারস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ কাজটি যাতে তাড়াতাড়ি এবং সুষ্ঠুভাবে প্রতিপন্ন করা সম্ভব হয় তার জন্য রামনগরের আইসিটিতে সোয়াব কালেকশন সেন্টার গঠন করা হয়েছে।
আসলে প্রতিদিন অনেক যাত্রী ঘরে ফেরার জন্য বরাক উপত্যকায় পৌঁছাচ্ছেন, এই অবস্থায় গুয়াহাটির বিশেষ কমিটির উপর ভরসা করে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই অসমের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানানোর পর শিলচরের বরিষ্ঠ ডাক্তার এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়। কাজেই কোন যাত্রীর লালা পরীক্ষায় নিগেটিভ এলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে এ বিশেষ কমিটি।
এই কমিটিতে রয়েছেন জেলার ডেভলপমেন্ট কমিশনার, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক এবং আইডিএসপি’র ডিএসও। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির অধীনে এ কমিটি গঠন করা হয়।
উপত্যকায় নতুন কোন করোনা সংক্রমনের খবর নেই। আজমির থেকে বাসে আসা যাত্রীদের মধ্যে দশ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। স্বস্তির বিষয়, এই সংখ্যা আর বাড়েনি। কিন্তু ক্রমাগত বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ফেইক নিউজ ছড়িয়ে পড়ায় উপত্যকা বাসী আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। এ ধরনের উড়ো খবরে বিশ্বাস না করে সরকারি খবর তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন এবং ফেক নিউজ এড়িয়ে চলা উচিত। যদিও এ ধরনের ভুয়া খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যবস্থা করতে প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
Comments are closed.