Also read in

প্লাজমা দিয়ে ও শেষ রক্ষা হলো না , করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রাক্তন শিক্ষক কনকশশী ভট্টাচার্য

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন শিক্ষক কনকশশী ভট্টাচার্য। বড়খলার ছোট দুধপাতিল এমই স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার ছেলে কল্পজ্যোতি ভট্টাচার্য পেশায় দন্তচিকিৎসক। সম্প্রতি খানিকটা জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন কনকশশী ভট্টাচার্য। সেখানে রেজাল্ট পজিটিভ আসায় তাকে প্রথমে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। লাগাতার অক্সিজেন থ্যারাপি দেওয়ার পাশাপাশি গুয়াহাটি থেকে প্লাজমা এনে তার শরীরে দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার শরীরে ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য উপসর্গ ছিল। একসময় অক্সিজেনের মাত্রা এতটাই নেমে যায় যে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যেসব চিকিৎসার সম্ভাবনা রয়েছে, সবগুলো তার ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এক সময় তার শরীর আর অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেনি। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে। এবার তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে এবং রিপোর্ট গুয়াহাটির ডেথ অডিট বোর্ডে পাঠানো হবে। বোর্ডের পক্ষ থেকে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করার পর মৃতদেহ স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ম অনুযায়ী শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

পুত্র এবং পুত্রবধূ সহ পরিবারের অসংখ্য গুণমুগ্ধকে রেখে গেছেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন তিনি, তবে শিক্ষকতা চালিয়ে গেছেন। কয় বছর আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর অম্বিকাপট্টির ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার বাইরেও গেছেন।

তার মৃত্যুতে অনেকেই শোক ব্যক্ত করেছেন। ছোট দুধ পাতিল এমই স্কুলে শিক্ষকতা করার দরুন বড়খলা এলাকায় তার হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনে প্রত্যেকেই শোক ব্যক্ত করেছেন। আগামীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!