Shib Colony case: accused realeased, BJP gheraos Outpost
শিবকলোনি এলাকার এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে শুক্রবার রাঙ্গিরখাড়ি থানায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার সজল বণিক সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন সাহা নামের এক ব্যক্তিকে রবিবার বিকেলে আটক করে পুলিশ। তবে তার কাছে আগে থেকেই জামিন নেওয়া ছিল, তাই পরে তাকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গোপাল দেবনাথ নামের এক বিজেপি কর্মীকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরকমিশনার সজল বণিক ও তার সহযোগীরা শুক্রবার সকালে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। গোপাল দেবনাথের স্ত্রী সুমিত্রা দেবনাথ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সুমিত্রা দেবনাথের বয়ান, শিব-কলোনি এলাকায় সজল বণিক প্রায়ই এভাবে দাদাগিরি করেন। শুক্রবার সকালে সরকারি তরফে পাটোয়ারীর একটি দল এলাকায় আসে, এসব দেখতে গোপাল দেবনাথ এবং তার সহযোগীরা এগিয়ে যান। তবে সজল বণিক আচমকা তাদের উপর হামলা করেন এবং গালিগালাজ। তার সঙ্গে এসে যোগ দেয় একদল যুবকও তারা গোপাল এবং তার সহযোগীদের মারধর করে। এতে আহত হয়ে গোপাল দেবনাথ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।
এদিকে অপরাধীকে ধরতে না পারায় অভিযোগে রবিবার দুপুরে বিজেপি কর্মীরা রাঙ্গিরখাড়ি থানা ঘেরাও করেন। শিব কলোনি কর্মী বিজেপি কর্মী রাজীব দত্ত, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরসদস্য অসীম দাস এবং প্রাক্তন পুরসদস্য গোপাল রায় সহ দলের কয়েকশো সদস্যরা এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ রাঙ্গিরখাড়ি থানা ঘেরাও করেন। তারা পুলিশের কাছে স্পষ্ট জবাব চান, আপনারা কেন ঘটনার দুইদিন পরেও একজন অপরাধীকে ধরতে পারছেননা। অথচ অপরাধী প্রায় খোলা হবেই ঘোরাঘুরি করছে। তারা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অপরাধীকে না ধরলে আবার ঘেরাও করবেন বলে হুমকি দিয়ে ফিরে আসেন। এই ধর্নার পরিপ্রেক্ষিতেই হয়ত এদিন বিকেলে অভিযুক্ত সুমন সাহাকে আটক করে পুলিশ। তবে সুমনের কাছে আগে থেকেই জামিন নেওয়া ছিল বলে জানান থানার ইনচার্জ উৎপল চন্দ। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ করেছি, আমরা অপরাধীকে ধরেছি। তার কাছে জামিন ছিল সে তার মত মুক্তি নিয়েছে।তবে তার বিরুদ্ধে কঠিন ধারা লাগানো হয়েছে এবং তার উপর আমাদের চোখ থাকবে। আইন তার কাজ করবে আমরা কারো চাপে কাজ করি না।
Comments are closed.