রবিবার করোনায় মারা গেলেন শিলচরের দুই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি
রবিবার কাছাড় জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, দুজনেই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার শেষরাতে প্রেমতলার সত্যেন্দ্র মোহন রায় নামের ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭৩ বছর এবং তিনি ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন। গ্রিন হিলস হাসপাতালে তার সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং পরবর্তীতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আইসিইউ’তে ছিলেন। শনিবার রাত দুটোয় তার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ তারাপুরের হেমেন্দ্রকুমার চন্দ নামের আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দেখা গেছে, খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসকরা অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া এই দুই মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দুজনেরই বয়স সত্তর বছরের বেশি ছিল, এছাড়া তারা যখন চিকিৎসার জন্য এসেছেন ততক্ষণে স্বাস্থ্যের অনেকটাই অবনতি হয়ে গেছে। হাসপাতালে একদিকে যেমন আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। আমরা নিজেদের তৈরি রাখছি, কারণ পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।”
মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির শেষকৃত্য শিলচর শ্মশানঘাটে কোভিড চুল্লিতে হবে। কাজটি করবেন প্রশাসনের ঠিক করা সামাজিক সংস্থার লোকেরা এবং এতে পিপিই কিট পড়ে অংশ নিতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রবিবার সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত কাছাড় জেলায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৮ জন এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ৭ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এতে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৩। মূলত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপসর্গ থাকা আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা চলছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রিন হিলস হাসপাতাল একমাত্র এই পরিষেবাটি দিচ্ছে, এছাড়া সেনা হাসপাতালেও চিকিৎসা চলছে। আগামীতে সিভিল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের প্রস্তুতি চলছে।
Comments are closed.