Also read in

"কাছাড়ে গণ সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে", জানাল স্বাস্থ্য বিভাগ; মেডিক্যালে মৃত এক

কাছাড় জেলায় কালাইন বাজার, কালাইন এলাকার কিছু বাগান অঞ্চল, এবং শিলচর শহরের জনবহুল এলাকায় গণ সংক্রমণের ধরন দেখা দিয়েছে, এমনটা জানালেন মিডিয়া বিশেষজ্ঞ সুমন চৌধুরী। সন্ধ্যে পর্যন্ত জেলার করোনা পরিসংখ্যান তুলে ধরার সাথে সাথে সুমন চৌধুরী এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে টার্গেটেড সার্ভিলেন্স শুরু করা হয়েছে , আজ তারাপুর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আগামীতে আরো কিছু এলাকায় এই টার্গেটেড সার্ভিলেন্স চালানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যে পর্যন্ত কাছাড় জেলায় ২১৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এর মধ্যে ১৯৮ জন রেপিড এন্টিজেন টেস্টে এবং ১৫ জন আরটিপিসিআর টেস্টে ধরা পড়েছে ।

এদিকে করিমগঞ্জ জেলায় আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে । ১২৯৪ সংখ্যক সোয়াব পরীক্ষার পর ১১২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা এবছরের সর্বোচ্চ। আজ ছাড়া পেয়েছেন ১৫ জন, বর্তমানে করিমগঞ্জে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।

এদিকে আজ,শনিবার শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় মারা গেলেন এক ব্যক্তি। পঞ্চায়েত রোডের বাসিন্দা মাহিবুর রহমান বড়ভুইয়া নামের ব্যক্তি ৩ মে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং শ্বাসকষ্টও ছিল। একসময় অক্সিজেনের মাত্রা ৬৩ শতাংশে নেমে যায়। শেষমেষ তাকে হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। পাশাপাশি তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়, তবু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রায় পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সন্ধ্যায় ছয় টায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

হাসপাতালের সহকারি অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, এখন ১৭২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে ১৩৫ জন রয়েছেন ওয়ার্ডে এবং ৩৮ জন আইসিইউ বিভাগে। ১৭ জন রোগী ভেন্টিলেশনে রয়েছেন এবং ১৮ জন অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিন ১১ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ৯ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দুজন ব্যক্তি ডাক্তারের পরামর্শে বাড়ি চলে গেছেন এবং ২২ জন রোগীকে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এতে উপত্যকার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি বিশেষ স্যাম্পল আইসিএমআরে পাঠানো হয়েছে, বিভিন্ন রোগীর শরীরে সংক্রমনের ধরনগুলো যাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইসিএমআর এই স্যাম্পলগুলো পরীক্ষা করে জানাবে, বরাক উপত্যকায় কোনও মিউট্যান্ট রয়েছে কিনা এবং এখানে ভাইরাস কতটুকু শক্তিশালী। অবশ্যই এটি উপত্যকায় করোনা ভাইরাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিক খুলে দেবে।

Comments are closed.