ঘুষ কান্ডে হাতেনাতে ধৃত 'বড়বাবু' অতসী তরফদারকে পুনর্বহালের নির্দেশ, চাঞ্চল্য জনমনে
কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের অধীন ইলেকশন অফিসের সিনিয়র এসিষ্টেন্ট (‘বড়বাবু’) অতসী তরফদারকে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে হাতেনাতে পাকড়াও করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যে কোন ধরনের চার্জশিট পেশ না করায় আদালত তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ, ২০১৯ তারিখে অতসী তরফদারকে তারাপুরের এক প্রেসের মালিকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছিলেন গুয়াহাটি থেকে আটঘাট বেঁধে আসা ভিজিলেন্স এবং এন্টি-করাপশন আধিকারিকরা। এই ঘটনার পরে কাছাড়ের জেলা শাসক ৩০ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ জারি করেছিলেন, যদিও তা কার্যকর হয়েছিল ২৮ মার্চ থেকেই। মহিলা কর্মীর ঘুষ নেওয়ার ঘটনা হাতে নাতে ধরা পড়ার দৃশ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ায় সমগ্র রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
আশ্চর্যজনকভাবে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নেওয়া হয়নি। ১৬ মে আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করে। সম্প্রতি তিনি তার সাসপেনশনের নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য গৌহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে পুনর্বহালের আদেশ দেয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মনোরঞ্জন পাঠক রায় প্রদান করে বলেন, অতসী দত্ত তরফদারকে বরখাস্ত করার ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিভাগীয় প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি, তাই তার সাসপেনশনের আদেশ পুরোপুরি খারিজ করা হচ্ছে। একই আদেশে বিচারপতি অতসীকে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি সম মর্যাদার কোন পদে কাজ করতে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতির ব্যাপারে শূন্য সহনশীল সরকারের জেলা উপায়ুক্তের দপ্তরে হাতেনাতে ঘুষ নেওয়ার ঘটনা প্রমাণ সহ ধরা পড়ার পরেও অতসী তরফদারের সাময়িক বরখাস্তের পর কোন ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ববর্তী ঘটনা পড়তে হলে নিচে ক্লিক করুন :
ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধৃত কাছাড়ের নির্বাচন শাখার বড়বাবু অতসী দত্ত তরফদার
Comments are closed.