করোনায় আক্রান্ত জামাল উদ্দিনের শরীরে ডব্লিউবিসি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও এ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই, জানালেন ডাঃ রবি কান্নান
করিমগঞ্জ জেলার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি মুফতি জামাল উদ্দিন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তার ক্যান্সার বিষয়ক কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। মূলত তার রক্তে ডব্লিউবিসি মাত্রা খানিকটা বেড়ে গেছে। ক্যান্সারে আক্রান্তের এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবু তার রিপোর্ট গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্যান্য জায়গায় পাঠানো হয়েছে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত কথাটি জানিয়েছেন। তবে তিনি করোনা চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন।
কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডাঃ রবি কান্নান মুফতি জামাল উদ্দিনের চিকিৎসা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, রোগীর ছোটখাটো উপসর্গ দেখা দিলেও এতে খুব একটা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ব্লাড ক্যান্সার অনেকেরই সেরে যায়, এর পর্যাপ্ত চিকিৎসার সম্ভাবনা রয়েছে। জামাল উদ্দিনের শরীরে কিছুটা ডব্লিউবিসি বৃদ্ধি পেলেও এতে তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি করোনার চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন এবং আগামীতে আরো কিছু টেস্ট হলে তাকে হয়তো শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তিনি মুক্ত হলে আমরা তার ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করব। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হচ্ছে ফলে এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সবটা মিলিয়ে ভয় পাওয়ার মতো কোনো অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।
করিমগঞ্জের জামাল উদ্দিন এবং কাছাড়ের আরেক ব্যক্তি সহ মোট দুই জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এর বাইরে এখনো কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হননি। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের প্রাথমিক টেস্টগুলো নেগেটিভ। ফলে এখনই তাদের নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতাল এবং নেট্রিপে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে কিছু লোক রয়েছেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে অনেকেই আছেন। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন তাদের আরও ১৪দিন নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়ার পর জেলা প্রশাসনের তরফে নিয়মগুলো আরো কঠোর করা হবে। এব্যাপারে প্রশাসনের আধিকারিক স্তরে আলোচনা হবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
Comments are closed.