
১২ জন কোভিড রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল; "ওরা উৎপাত করছে", জানালেন ভাইস প্রিন্সিপাল
শিলচর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রায় বিনিদ্র রাত যাপন করছেন কিছু সংখ্যক লক্ষণ বিহীন তরুণ কোভিড রোগীদের নিয়ে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আজ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানান, “ওরা খুবই উৎপাত করছে।” ওদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবন ও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
“ওরা খাবার-দাবার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে খুবই হাঙ্গামা করছে। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে ওদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য দিতে পারি। ওরা ফ্যান, লোকজন এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে ঝামেলা করছে”, জানান ডক্টর গুপ্ত।
ডক্টর গুপ্ত আরো জানান, “এখন আবার নতুন এক উৎপাত শুরু হয়েছে। প্রত্যেকদিন একটা দল বানিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। গতকাল রাত দশটা নাগাদ সাতজন রোগী হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। আজ অন্য আরো পাঁচজন একই চেষ্টা করে। ওরা কোভিড-১৯ পজিটিভ এবং এরা যদি পালিয়ে যায় তাহলে সমস্ত জেলা বাসীর জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠবে।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়েছে এবং সেইসাথে রোগীদেরকে ও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওরা যদি আবার এরকম চেষ্টা করে তাহলে সরকারিভাবে ওদের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করা হবে।
ওরা যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখন মেডিকেল কলেজে থাকা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তারক্ষীরা ওদের আটকায়। এইভাবে আটকাতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ও বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, কারণ ওরা কোন মতেই এই রোগীদের সংস্পর্শে আসার কথা নয়।
তবে ডাক্তার গুপ্ত রোগীদের নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেন কারণ এটা প্রটোকল বিরোধী হবে। তবে তিনি জানান, এরা মূলত তরুন এদের শরীরে কোভিডের কোনো সিম্পটম নেই এবং এরা মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষের অন্যান্য হটস্পট এলাকা থেকে এসেছে। ” এই তরুণরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজে নিয়োজিত ছিল। এই আইসোলেশন ওয়ার্ডের ওদের কিছুই করার নেই, তাই এরকম ঝামেলা করছে। কোভিড পেশেন্ট হলেও এদের শরীরে কোন সিম্পটম নেই। তাই এরা এরকম করতে পারছে”।
Comments are closed.