রেপিড টেস্টে পজিটিভ হলেন শিলচর সদর থানার ওসি দিতুমনি গোস্বামী
রেপিড এন্টিজেন টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন শিলচর সদর থানার ওসি দিতুমনি গোস্বামী। এবার তাকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে তার সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা হবে, পুলিশ সুপার বিএল মিনা শনিবার দুপুরে খবরটি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “শুক্রবার আমার কার্যালয়ের চারজন কর্মী রেপিড এন্টিজেন টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন। এবার সদর থানার ওসি পজিটিভ হওয়ায় আমরা কিছুটা চিন্তিত। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করানো বাকি রয়েছে। পাশাপাশি এখন জেলার প্রায় প্রত্যেক পুলিশ আধিকারিকের পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সঙ্গে প্রত্যেকটি পুলিশ স্টেশন স্যানিটাইজ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যখন আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও বেশি পুলিশকর্মী প্রয়োজন, তখন আমাদের কিছু আধিকারিকরা পজিটিভ হচ্ছেন। অবশ্যই তারা প্রত্যেকে কোভিড যোদ্ধা, কর্মরত অবস্থায় কোনওভাবে সংক্রমণ হয়েছে। আমরা তাদের এবং তাদের পরিবারের পাশে আছি।”
এর আগেও পুলিশকর্মী পজিটিভ হয়েছিলেন এবং সুস্থ হয়ে নিজেদের দায়িত্বে আবার ফিরেছেন। লক্ষীপুর থানার পুলিশকর্মী পজিটিভ হওয়ার পর এভাবেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। এর কিছুদিন পর থানার কয়েদিও পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে তারা সেরে উঠেছেন। এবার সদর থানার ওসি পজিটিভ হওয়ায় একইভাবে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণকরবে পুলিশ প্রশাসন, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
দিতুমণি গোস্বামী ২০১৮ সালে শিলচর সদর থানার ওসি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে দিসপুরে ডায়েল ১০০ পরিষেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া রাঙ্গিরখাড়ি থানায় তিনি একসময় বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন।
লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাকে দিনরাত শিলচর শহরের বিভিন্ন মোড়ে কর্তব্য পালন করতে ও দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যে আধিকারিকরা পজিটিভ হয়েছিলেন, তাদের বড়খলা মডেল ডিগ্রী কলেজে কোভিড পরিষেবা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
Comments are closed.