Also read in

বিভিন্ন সংগঠনের আপত্তি রয়েছে, শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন আপাতত হচ্ছে না'

শিলচর রেলওয়ে স্টেশনকে ভাষা শহীদ স্টেশন নামকরণ নিয়ে বিধানসভায় আবার প্রশ্ন উত্থাপন করলেন করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রশ্ন উত্থাপন করে বিধায়ক স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চান, শিলচর রেলওয়ে স্টেশন কে ভাষা শহীদ স্টেশন নাম করনের প্রক্রিয়ার অগ্রগতির বিস্তারিতভাবে সদনে জানাবেন। ভাষাশহীদ স্টেশনের জন্য সব ধরনের অনুমোদন (NOC) হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাজপত্র নির্দেশনামা (গেজেট নোটিফিকেশন) জারি না করার কারণ কি ?

উত্তরে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের পক্ষ থেকে লিখিত উত্তর দেন পরিবহন উদ্যোগ ও সংসদীয় পরিক্রমা বিভাগের মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী। আবার পুরনো কথার পুনরাবৃত্তি করে জানানো হয়, ভারত সরকার বিগত ৭ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম ভাষা শহীদ স্টেশন করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় এনওসি প্রদান করার সাথে সাথে রাজ্য সরকারকে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করার জন্য বলে। এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে, বিভিন্ন সংগঠনের রাজ্য সরকারকে স্মারক পত্র পত্র প্রদান করে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের নাম ভাষাশহীদ স্টেশন করার ক্ষেত্রে আপত্তি দেখায় এবং বিরোধিতা করে। তাই সমগ্র বিষয়টি পর্যালোচনার করে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় এবং মিলমিশ অক্ষুন্ন রাখার জন্য এবং সমগ্র অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার উক্ত বিষয়টি বর্তমানে স্থগিত করে রেখেছে।

বর্তমান বিধানসভা আর কিছুদিন পরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে চলেছে। তাই, নতুন করে নির্বাচিত বিধানসভা সদস্যরাই ভবিষ্যতে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, এটাই ধরে নেওয়া চলে।

কমলাক্ষের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, বরাকের ভাষা শহীদদের রাজ্য সরকার কর্তৃক সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাবেন?

এর উত্তরে জানানো হয়, বরাকের ভাষা শহীদ দেরকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।

তৃতীয় প্রশ্নে কমলাক্ষ জানতে চান, রাজ্য সরকার কর্তৃক বাজেটে অনুমোদিত বরাক উপত্যকায় একটি শহীদ স্মারক নির্মাণের কাজ কতটুকু এগিয়েছে, এই শহীদ স্মারক নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছে, কি কত দিনের মধ্যে এই নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে?

উত্তরে জানানো হয়, বরাক উপত্যকায় শহীদ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে।

পরবর্তী প্রশ্নে রাজ্য সরকার কর্তৃক সম্প্রতি গুয়াহাটিতে নির্মিত শহীদ উদ্যানে বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের উল্লেখ বা স্থান রয়েছে কি ?

উত্তরে জানানো হয়, বিদেশি বহিষ্কার করার ব্যাপারে হওয়া আসাম আন্দোলনের ১৯৭৯ থেকে হাজার ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের জন্য গুয়াহাটির পশ্চিম বড়গাঁও- এ প্রস্তাবিত শহীদ স্মারক উদ্যানের নির্মাণ কাজ চলছে।

 

বিগত বিধানসভার অধিবেশন বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের পরিবারের আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সরকার, এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানতে চাইলে উত্তর দেওয়া হয়,

বরাকের ভাষাশহীদদের পরিবারবর্গকে কোন ধরনের আর্থিক সাহায্য অথবা চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

গুয়াহাটিতে নবনির্মিত শহীদ উদ্যানে অন্যান্য ভাষা গোষ্ঠীর শহীদদের স্থান থাকলেও বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের স্থান দেওয়া হয়নি কেন , এই প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়,বিদেশি বহিষ্কার করার ব্যাপারে হওয়া আসাম আন্দোলনের ১৯৭৯ থেকে হাজার ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের জন্য গুয়াহাটির পশ্চিম বড়গাঁও- এ প্রস্তাবিত শহীদ স্মারক উদ্যানের নির্মাণ কাজ চলছে।

Comments are closed.