সন্ধ্যা পর্যন্ত কাছাড়ে পজিটিভ ২০০,চব্বিশ ঘন্টায় মেডিকেলে মৃত পাঁচ
সমগ্র আসামের মধ্যে কাছাড় জেলার কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রয়ে গেছে। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাছাড় জেলায় ২০০ জন ব্যক্তির দেহে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১৯১ জন এবং আরটিপিসিআর টেস্টে ৯ জন। আরটিপিসিআর টেস্টে সংক্রমিতের সংখ্যা রাতের দিকে আরো বাড়তে পারে।
এদিকে, চব্বিশ ঘন্টায় শিলচর মেডিকেল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে পাঁচজন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। এরমধ্যে কাছাড় জেলার রয়েছেন তিনজন এবং করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দির একজন করে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, ১৬ জুন বিকেল পাঁচটায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪৮ জন রোগী সক্রিয় রয়েছেন। ৯০ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন, ৫৮ জন রোগী রয়েছেন কোভিড ওয়ার্ডে। ২০ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন এবং ১০৯ জন রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় ২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ৩০ জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন। ১৮ জন রোগী হোম আইসোলেশন নিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জন রোগী মেডিক্যাল কলেজে প্রাণ হারিয়েছেন।
কাছাড় জেলার কাবুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়স্ক বিদ্যা রানী সিংহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫ জুন এবং ১৫ জুন রাত ১১-৩০ মিনিটে উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাইলাকান্দি জেলার লক্ষীনগর দ্বিতীয় খন্ড এলাকার ৭৭ বছর বয়স্ক অমূল্য শুক্লবৈদ্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪ জুন। তিনি ১৫ জুন রাত ১১-৩০ মিনিটে করোণা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারান ।
করিমগঞ্জ জেলার বিদ্যানগর এলাকার বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়স্ক পরশ কানু বিগত ১৩ জুন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৬ জুন ভোর রাত্র ২-২০ মিনিটে উনার মৃত্যু হয়।
কাছাড় জেলার শিলচর শহর সংলগ্ন শ্রীকোনার বাংলাঘাট এলাকার বাসিন্দা ৯০ বছর বয়স্ক গনেশ চন্দ্র দাস বিগত ১২ জুন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৬ জুন সকাল ৫-৩০ মিনিটে উনার মৃত্যু হয়।
কাছাড় জেলার কুম্ভীরগ্রাম এলাকার ৭০ বছর বয়স্ক ডি বি গুরুং শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১১ জুন। তিনি ১৬ জুন সকাল ৯-১০ মিনিটে করোণা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারান ।
Comments are closed.