সীমান্তে গরু বিক্রির অবৈধ প্রয়াস ভেস্তে দিল বিএসএফ, উদ্ধার সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার গরু
২১ জুলাই উদযাপিত হবে মুসলমান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদ-উল-আযহা বা কোরবানির ঈদ। ধর্মীয় আচার অনুযায়ী এই ঈদে পশুবলির বিধান রয়েছে, ফলে অনেকেই বাজার থেকে বিভিন্ন পশু কিনেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার গো-হত্যা বিরোধী বিল পেশ করেছে যেখানে গো-মাংস বিক্রি থেকে শুরু করে গরু বিক্রির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আদালতের তরফে আগে থেকেই নির্দেশ রয়েছে সীমান্ত এলাকা থেকে কুড়ি কিলোমিটারের মধ্যে গরুর বাজার বসানো যাবে না। তবু রবিবার করিমগঞ্জ জেলার ফকিরাবাজার এলাকায় কিছু লোক গরু বিক্রির উদ্যোগ নেন এবং সেটা ভেস্তে দেয় পুলিশ ও বিএসএফ বাহিনী।
একদিকে সীমান্ত এলাকা থেকে কুড়ি কিলোমিটারের মধ্যে গরুর বাজার বসানোর ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ, দুটোই উপেক্ষা করে এদিন একদল বেপরোয়া ব্যবসায়ী করিমগঞ্জের একেবারে সীমান্ত এলাকা ফকিরাবাজারে প্রকাশ্যে গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার স্থানীয় ফকিরাবাজারে সাপ্তাহিক বাজারের দিন ঈদের প্রাক মুহূর্তে জমজমাট গরুর বাজার শুরু হয়। এই খবর পৌঁছে যায় বিএসএফ বাহিনীর কানে এবং তারা পুলিশকে খবর দিয়ে একটি যৌথ অভিযানে নামে। বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ১৬টি গরু এদিন উদ্ধার করা হয়, তবে যারা এগুলো নিয়ে এসেছিল তাদের আটক করা যায়নি।
সূত্রের খবরের উপর ভিত্তি করে করিমগঞ্জ সদর পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ফকিরাবাজার পাশ্ববর্তী এলাকায় গরুর বাজারে অভিযান চালায় বিএসএফ গোয়েন্দা শাখা। অভিযানে বিএসএফ জব্দ করে ১৬টি গরু। তবে পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানের আগাম খবর পেয়ে গরুর বাজার থেকে পালিয়ে যায় অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ীরা।
বিএসএফ ইন্সপেক্টর জি পঙ্কজ শর্মার নেতৃত্বে ১৬ টি গরু জব্দ করা হয় এবং তিনি নিজেই করিমগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জব্দ করা গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য ৬,৪০,০০০ টাকা। বর্তমানে জব্দ হওয়া গরুগুলো সদর পুলিশের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
Comments are closed.