Also read in

আমি বিজেপিতে ছিলাম, বিজেপিতে আছি এবং বিজেপিতেই থাকবো: বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর

সব জল্পনা কল্পনার ইতি টেনে বহুদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ আসামে রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। সাতজন বিধায়ককে এদিন মন্ত্রীত্বের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এই সাতজন বিধায়ক হলেন সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য্য, ভবেশ কলিতা, সুম রংহাং তপন গগৈ , পীযুষ হাজারিকা (সব বিজেপির); এজিপির হয়ে শপথ নেন ফণী ভূষণ চৌধুরী ও বিপিএফএর হয়ে শপথ নেন চন্দন ব্রহ্ম। তাদের সবাইকে রাজ্যপাল জগদীশ মুখি রাজ ভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান।

মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ হলেও বরাকবাসীর ভাগ্যে কোনো খুশির খবর জুটেনি এবং এইবারও সম্ভবত ‘চির বঞ্চিতের” তকমাটা কাটিয়ে উঠতে পারলো না বরাক উপত্যকা। বরাক থেকে দ্বিতীয় কারোর মন্ত্রীসভায় স্থান না হওয়ার খবরকে হতাশাজনক বলে মনে করছেন বরাকবাসী। স্থানে স্থানে এই নিয়ে প্রতিবাদ ও চলছে।

এইসব ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই আজ একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হতে দেখা যায়। খবরটি এইরকম ছিল যে আমিনুল হক লস্কর নাকি এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে অত্যন্ত ক্ষেপেছেন। পরবর্তীতে জানা যায় অসন্তুষ্ট হয়ে তিনি হজ কমিটির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সময়ের সাথে সাথে এই খবরটিরও পরিবর্তন হতে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গুজব রটে যে তিনি নাকি বিজেপি থেকে ও ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন।

আমাদের বরাক বুলেটিনের সংবাদদাতা এই বিষয়ে আমিনুল হক লস্করের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি এই খবর শোনামাত্রই এটিকে এক বাক্যে নস্যাৎ করে দেন। তিনি আমাদের জানান “আমি বিজেপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।” হজ কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে এটা একটি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটার সঙ্গে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কোনো যোগ নেই। হজ কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জন্যই তিনি ইস্তফা দেন বলে আমাদেরকে জানান।

আজকের ঘটনাবলী থেকে একটি কথা অবশ্যই অনস্বীকার্য যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ছড়ানো হয় নিজেদের উদ্দেশ্যকে চরিথার্থ করার জন্য। সুতরাং আমরা সবাইকে আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি যে কোনো খবরের সত্যতা যাচাই না করে সেটা বিশ্বাস করবেন না। হয়তোবা আপনাকেও এই ফেক নিউজের জালে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং আপনি বুঝতেও পারছেন না।

Comments are closed.