সন্তানকে ফিরে পেতে লালামুখে গঙ্গা আরাধনায় দিশেহারা মায়েরা
এস ডি আর এফ বাহিনীর নৌকা বিহার , ডিপ ডিভার বাহিনীর ডুবুরির নানা কসরত থেকে শুরু করে মহাজাল ফেলা, জেলা প্রশাসনের যাবতীয় প্রচেষ্টার পরও সন্ধান নেই নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিন যুবকের । যার ফলে তিন দিন পর প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে শেষ পর্যন্ত গঙ্গা মায়ের চরণে আশ্রয় নিলেন লালামুখের আবাল বৃদ্ধ বনিতা । গঙ্গা মাকে তুষ্ট করে হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের ফিরে পেতে মঙ্গলবার গঙ্গা পূজা দিলেন নিখোঁজ সুমিত -অজয় ও রমেশের পরিবার পরিজনরা ।
লালামুখ ফেরিঘাটে অজয় সুমিতের বৃদ্ধা মা লক্ষী পাঁশি সহ অন্যরা ছুটে এসে গঙ্গা পূজা দিয়ে তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়ার আকুল আবেদন জানান গঙ্গা মায়ের কাছে। তখন নদীতীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাগানের শতাধিক পুরুষ মহিলা ।একদিকে চলছিল পূজার্চনা আর অন্যদিকে চলছে প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান। নদীর দু’তীরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অসংখ্য জনতা। যদিও ডুবুরির তৎপরতা সহ নদীর বিভিন্ন জায়গায় মহাজাল
ফেললেন মৎস্যজীবীরা । কিন্ত কিছুই মিলে নি।
এদিকে এদিন লালামুখ বাগান ও উত্তর জষ্ণাবাদ এলাকার স্থানীয় নাগরিকরা নদীতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নৌকাডুবিতে হারিয়ে যাওয়া দু’টি সাইকেল সহ জুতা চপ্পল উদ্ধার করেন। অপরদিকে বিগত দু’দিনের ন্যায় আজও এস ডি আর এফ বাহিনী সহ শিলচরের চার ডুবুরি কাটাখাল নদীতে দিনভর তল্লাশি চালালেও নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিন যুবকের কোনও সন্ধান বের করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিন যুবকের উদ্ধারের জন্য হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রবিবার বিকেলে লালামুখ ফেরিঘাটে নৌকাডুবিতে লালামুখ চা বাগানের দুই ভাই সুমিত পাঁসি (২৭) ও অজয় পাঁসি (২২) এবং রমেশ পাঁসি (৩৮) নিখোঁজ হয়েছিলেন।
Comments are closed.