Also read in

১২,৪০৭ রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ ৪৫, মেডিকেলে ৮ বছরের শিশু সহ মৃত দুই

কাছাড় জেলায় করোনা গ্রাফ ধীরে ধীরে নামছে। গতকাল ৯৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন, আজ সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪৭ জন পজিটিভ হয়েছেন। তার মধ্যে ৪৫ জন রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে এবং দুজন আরটিপিসিআর পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন।

এখন উল্লেখযোগ্য যে, যদিও আজকের দিনে রেট টেস্টের টার্গেট ছিল ৫৭০০, তবে মোট ১২,৫০৭ সেম্পলের আজ টেস্ট করা হয়েছে। জেলার পজিটিভিটি হার দাঁড়িয়েছে ০ ৩৫ শতাংশ। এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত কাছাড় জেলায় ১৭,৭২৫ এ পর্যন্ত পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। ১৬৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে, যার মধ্যে ২৭ জনকে কোভিড মৃত্যু হিসেবে মান্যতা দিয়েছে হয়েছে রাজ্য স্তরের অডিট বোর্ড। ১৪১ জনের মৃত্যুকে আনুষঙ্গিক জটিলতায় মৃত্যু হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৫০৮ জন ব্যক্তি সক্রিয় কোভিড রোগী হিসেবে আছেন।

সংক্রমণের হার কমলেও সতর্কতা সর্বাবস্থায় জারি রাখতে হবে। কারণ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, “আমাদের সব সদাসর্বদা চোখ রাখতে হবে কতজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এটা দৈনিক দশ জনের নিচে না নামছে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই পরিসংখ্যান মোটামুটি উপত্যকার ৩৫ লাখ লোকের। এমন অনেক রোগী রয়েছেন যারা পরীক্ষা করান নি, তাই সরকারিভাবে পজিটিভ সনাক্ত হননি; কিন্তু সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। বিশেষ করে যারা টিকা নেননি,” জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিলচর মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার।

বিগত ২৪ ঘন্টায় কুড়ি জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১২ জন ছাড়া পেয়েছেন, জানালেন শিলচর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত। তিনি আরো জানান বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১০ জন রোগী রয়েছেন কোভিদ ওয়ার্ডে। যার মধ্যে ৫০ জন আইসিইউতে এবং ১৯ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে। ৮১ জন রোগী আছেন অক্সিজেন সাপোর্টে ।

আজ বিকাল সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত এর আগের চব্বিশ ঘন্টায় দুইজন রোগী কোভিড ওয়ার্ডে প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে একজন হচ্ছে ৮ বছরের শিশু নুর ইসলাম লস্কর । হাইলাকান্দি জেলার এই শিশুটিকে গত পহেলা জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং দুসরা জুলাই রাত ৭ টা ৫০ সে মিনিটে প্রাণ হারায়। অপর ব্যক্তি হলেন সালাউদ্দিন রাজ খান, যার বয়স ৭৪ বছর। তিনি শিলচর শহরতলীর নাগা টিলা এলাকার বাসিন্দা। তাকে বিগত ৩০ জুন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং দুসরা জুলাই রাত আটটা পঞ্চাশ মিনিটে তিনি প্রাণ হারান।

Comments are closed.