Also read in

কাছাডে একদিনে প্রায় পাঁচশো ছুঁলো করোনা, মৃত্যু নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা

শুক্রবার কাছাড় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৬ জন, যা একদিনে আক্রান্ত হওয়ার সর্বকালের রেকর্ড। এদিন রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৩৬১ জন এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ১২৫ জন ব্যক্তির শরীরে থাকা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরফে যেসব মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে সবগুলোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা অথবা রাতে হয়েছে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বা কোনও বিবরণ জানানোই হয়নি।

এখন জেলায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৮৮ জন। এরমধ্যে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯৫ জন, সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩০ জন, গ্রীন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪২ জন, দয়াপুর সিআরপিএফ হাসপাতালে ২৬ জন, সেনা হাসপাতালে ১০ জন, কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালে ১৪ জন, গ্রেসওয়েল হাসপাতালে ১৬ জন, ভ্যালি হাসপাতালে ২২, সাউথ সিটি হাসপাতালে ৬ জন, জীবন জ্যোতি হাসপাতালে ২ জন, ছোটদুধপাতিল মডেল হাসপাতালে ১৩ এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৩৯২ জন।

দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে কতজনের মৃত্যুর জন্য সরাসরি করোনাভাইরাসকে দায়ী করেছে ডেথ অডিট বোর্ড এবং কতজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা ছিল, সেই তথ্য সঠিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন পর্যন্ত কাছাড়ে ৬০৯৫ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪১৬০ জন সুস্থ হয়েছেন।

শুক্রবার শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারা মারা গেছেন এই তথ্য তুলে ধরা হয়নি, তবে বৃহষ্পতিবার আরও চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল, সেটাই শুক্রবার মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে কাছাড় জেলার ৩ জন এবং হাইলাকান্দি জেলার একজন রয়েছেন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন নন্দকিশোর সিনহা (৭১), ইমরানা বেগম (৩৮), পুতুল চন্দ্র দাস (৭৮) এবং অজয় মাঝি।

শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ১৮০টি অক্সিজেনযুক্ত শয্যা এবং ৪০টি আইসিইউ গড়ে তোলার কাজ শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তারা জনগণের উদ্দেশ্যে একটি অনুরোধ রেখেছেন, কেউ যাতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে থাকার জন্য আবেদন না করেন।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭৭ জন। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ২৭ জন আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ১৩৩ জনের চিকিৎসা অক্সিজেনের সাহায্যে করা হচ্ছে। এদিন নতুন করে ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ২৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২৯ জনকে চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.