করিমগঞ্জের জাফরুল ইসলাম সেই ট্রাকচালক নন, ত্রিপুরায় যার কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে
আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে আজ একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে কোভিড ১৯ পজিটিভ একজন ট্রাক চালক ত্রিপুরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে অসমের করিমগঞ্জ জেলায় চলে এসেছেন। চালকটির নাম জাফরুল ইসলাম এবং সে কায়স্থগ্রামের বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এই প্রতিবেদনের বিপরীতে নিলাম বাজার সার্কেল অফিসের একজন কর্মকর্তা বরাক বুলেটিনকে জানিয়েছিলেন যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা সিলিন্ডার ট্রাকের চালক। সেইসঙ্গে অত্যাবশ্যক পরিষেবার অধীনে থাকায় এ ধরনের ট্রাকের রাস্তায় চলার অনুমতি রয়েছে।
সেই কর্মকর্তা বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলার সময় এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন যে সেই ট্রাক চালক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। এখানে উল্লেখযোগ্য, ট্রাকচালক গত ৬ মে করিমগঞ্জে ফিরে আসেন, অথচ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ৮ মে ট্রাকচালকের পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে বলে জানান।
এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, জাফরুল ইসলাম সেই ট্রাকচালক নন, যার পরীক্ষায় কোভিড ১৯ পজিটিভ এসেছে, বরং সেই ব্যক্তিটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা অন্য কেউ। ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের এক ট্রাক চালকের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেন, যার গাড়ির নম্বর WB-65-C-2129 এবং পরীক্ষায় পজিটিভ আসার পর তারা অন্য একটি ট্রাক চালককে আটক করেন, যার নম্বর হচ্ছে TR01-AH1992।
এদিকে করিমগঞ্জ জেলা উপায়ুক্ত বরাক বুলেটিনকে নিশ্চিত করে বলেন যে জাফরুল ইসলাম সেই ব্যক্তি নন, যাকে ত্রিপুরায় কোভিড ১৯ পজিটিভ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কায়স্থগ্রামের ব্যক্তিটি আসলে সেই ব্যক্তি নন, যার পরীক্ষায় ত্রিপুরায় কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এদিকে জাফরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন যাদেরকে আজ কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছিল তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে উপায়ুক্ত জানান, তাদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে এবং সেই পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
তথ্য অনুসারে,করোনা আক্রান্ত চালককে ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ জিরানিয়া অঞ্চল থেকে কোয়ারান্টিনে নিয়ে গেছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, আজ সকালে খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর করিমগঞ্জবাসীর মধ্যে এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জনগণ আজমির থেকে আসা লোকেদের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন।
এখানে আরো উল্লেখযোগ্য, ত্রিপুরা রাজ্যে ক্রমবর্ধমান কোভিড ১৯ পজিটিভ এর ঘটনায় করিমগঞ্জ প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে চুড়াইবাড়ি হয়ে অসমে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিবেশি রাজ্য ত্রিপুরায় করোনা পজিটিভ’র সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ বিএসএফ’র কর্মী বলে জানা গেছে।
Comments are closed.