
জল প্রকল্পে কীটনাশক, অস্থায়ী পিএইচই কর্মী জসিম উদ্দিনের বিচক্ষণতায় রক্ষা পেলেন কয়েক হাজার মানুষ
এক বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন দুধপাতিল খরিলপার আফরবস্তি এলাকার প্রায় তিন হাজার মানুষ। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা গতকাল জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের জল সরবরাহ প্রকল্পের ফিল্টার ও সেডিমেন্ট ট্যাংকে কৃষির জন্য ব্যবহৃত কীটনাশক ফেলে নাশকতার ছক করে। তবে, অস্থায়ী কর্মী জসীমউদ্দীনের বুদ্ধিমত্তায় তাদের এই অপপ্রয়াস ভেস্তে যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ ঠিকা ভিত্তিক কর্মী জসিম উদ্দিন জল সরবরাহের আগে যথারীতি বরাক নদীতে থাকা বার্জের জল তোলার মেশিন চালু করে ফিরে এসে সরবরাহ করার জলের ট্যাংকে এক অদ্ভুত গন্ধ পান, জলের মধ্যে ফেনাও দেখতে পান। সাথে সাথেই নদীর জলের মেশিন টি বন্ধ করে ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের খবর জানান, খবর দেওয়া হয় মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ সদর থানার ওসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদিশ দাস ছুটে আসেন। তারপর স্থানীয় বিধায়ক কিশোর নাথও আসেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে প্রকল্পের সংলগ্ন স্থান থেকে থেরন নামের কৃষি কাজে ব্যবহৃত কীটনাশকের ৫০০ মিলি লিটারের দুটো বোতল উদ্ধার করে। পরে তদন্তের কাজে গোয়েন্দা কুকুর নিয়ে আসলেও কোনো দুষ্কৃতী ধরা সম্ভব হয়নি।
অস্থায়ী কর্মী জসীমউদ্দীনের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছে পুলিশ এবং বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। তার বিচক্ষণতায় এক বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেল ওই এলাকার প্রায় তিন হাজার লোক।
বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, যে জলের ট্যাঙ্কে বিষ মিশানো হয়েছে তা প্রথমে কেমিক্যাল দিয়ে বিষমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে, তারপরে এই জল এমন ভাবে ফেলা হবে যাতে এর থেকে কোন প্রাণী- মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ না হন। তারপর ট্যাংকটি ভালো করে পরিষ্কার করে সেখানে আবার জল ভর্তি করা হবে – সেই জল আবার ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে । এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরই আবার জল সরবরাহ করা হবে; এতে মোটামুটি দুদিন সময় লাগবে।
Comments are closed.