ড: ওরিনা'র সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত গ্রিন হিলস হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্য এক
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে প্রকাশিত কোভিড রোগীদের দু নম্বর তালিকা অনুযায়ী গ্রিন হিলস হাসপাতালের একজন কর্মচারি ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ডক্টর ওরিনা রাহার সংস্পর্শে আসার জন্য অন্যান্য আরো অনেকের সঙ্গে ৪৪ বছর বয়সী গুলশান বিবি এবং ২৭ বছর বয়সী সঙ্গীতা দাসের লালা রস পরীক্ষা করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন,ড: ওরিনা রাহার গত ১ জুলাই কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। যার ফলে পরবর্তীতে তার পরিবারের সব সদস্য, গাড়িচালক, বাড়ির কাজের সাহায্যের লোক সংক্রমণে আক্রান্ত হন।
জানা গেছে, গুলশান বিবি মেহেরপুর শিলচরে অবস্থিত গ্রিন হিলস হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সুইপারের কাজ করেন। হাসপাতালে প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি ড: ওরিনা রাহার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে এসেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, জানালেন হাসপাতালের এক মুখপাত্র। গুলশান বিবি ছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে কাজ করা সঙ্গীতা দাসের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছিল, কারণ তিনিও ডাক্তারের সংস্পর্শে এসেছিলেন।হাসপাতালের মুখপাত্র আরও জানান যে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ড: ওরিনা একজন রোগীর অপারেশন করেছিলেন এবং গুলশান বিবিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কাছাড় স্বাস্থ্য বিভাগের মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী জানান যে তাদের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এই দুজন ছাড়া দ্বিতীয় তালিকা অনুযায়ী আরও তিনজনের কোভিড পজিটিভ এসেছে। এরা সবাই কাছাড় জেলার বেরেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা এবং ম্যাঙ্গালোর ও ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছেন। এরা হলেন ম্যাঙ্গালোর থেকে আসা পারভেজ আলম মজুমদার (১৭), ব্যাঙ্গালোর থেকে আসা শহিদুল ইসলাম বরভূঁইয়া(২১) এবং আব্দুল হোসেন মজুমদার(২২)।
Comments are closed.