
বাবা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু; স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন! “তদন্ত চলছে,” জানলেন এসডিপিও
এক মর্মান্তিক ঘটনায় বাবা ও মেয়ে সামান্য সময়ের ব্যবধানে একই স্থানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, কাছাড় জেলার জিরিঘাট থানার অন্তর্গত মাখনপুরে।
প্রতিদিনের মতো ৬৫ বছর বয়স্ক মইন উদ্দিন সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে আসেননি। বাবার ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে মেয়ে সালেহা বেগম (৩৮) তাকে খুঁজতে ছুটে আসেন এবং তার বাবার অবস্থা দেখে তিনিও মারা যান বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মাখনপুর ও জিরিঘাট এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জিরিঘাট ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছেন । একটি বাসভবনের সামনে মৃতদেহ দুটি পাওয়া গিয়েছিলো। বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, দুজনেই একের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রথমে বাবা মারা যান এবং পরে মেয়ে তার বাবাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন।
তবে মঈন উদ্দিন ও সালেহা বেগমের পরিবারের সদস্যরা আকস্মিক মৃত্যুর ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, মঈন উদ্দিনকে মাখনপুরের আরেক বাসিন্দা আলী হোসেন রাত আড়াইটার সময় ফোন করেছিলেন এবং আলীর বাড়ির সামনে তার মৃত্যু হয়। এমনকি ঘটনাস্থলেই সালেহারও মৃত্যু হয়। তাই তাদের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে অধিকতর তদন্ত দাবি করছেন তারা।
বারাক বুলেটিন লক্ষিপুরের এসডিপিও, কুলপ্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ মৃত্যুর তদন্ত করছে। “আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী এটি পরিকল্পিত হত্যা কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা এটিকে হত্যাকাণ্ড বলার মত কিছু খুঁজে পাইনি। তবে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং মেডিকেল রিপোর্টে আরও জানা যাবে।”
Comments are closed.