
কাছাড়ে সংক্রমিত শতকের নিচে, চব্বিশ ঘন্টায় মেডিকেলে মৃত দুই
ধীরে ধীরে সংক্রমনের মাত্রা কমছে; কমছে পজিটিভিটি হার ও। রবিবার কাছাড় জেলায় সর্বমোট ৯৮ জন ব্যক্তির দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় । ৩৮৪৫ জনকে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল তার মধ্যে ৫৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাকি ৪৪ জন আরটিপিসিআর টেস্টে শনাক্ত হন।
করিমগঞ্জে ৩৯ জন ব্যক্তির দেহে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়। জেলায় আজ ১৮০৫ জনের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল।
হাইলাকান্দিতে ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ব্যক্তির শরীরে কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে; ১০ জনের রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে এবং তিনজনের আরটিপিসিআর টেস্টে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, ২০ জুন বিকেল পাঁচটায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩৫ জন রোগী সক্রিয় রয়েছেন। ৭৮ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন, ৫৭ জন রোগী রয়েছেন কোভিড ওয়ার্ডে। ১১ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন এবং ৯৬ জন রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় ২৩ জন রোগী করোণা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১৭ জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন। ০ জন রোগী হোম আইসোলেশন নিয়েছেন এবং দুইজন কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২৪ ঘণ্টায় দুই জন রোগী মেডিক্যাল কলেজে প্রাণ হারিয়েছেন।
কাছাড় জেলার ধরম খাল এলাকার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়স্ক ধনঞ্জয় দাস বিগত ১৮ জুন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ২০ জুন সকাল ১১-২০ মিনিটে উনার মৃত্যু হয়।
কাছাড় জেলার লাবক চা বাগানের বাসিন্দা ৭৪ বছর প্রদীপ কান্তি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ জুন এবং ২০ জুন বিকাল তিনটায় উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাইলাকান্দির বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়স্ক সিতাংশু নাথ বিগত ১৭ জুন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৯ জুন বিকাল দুইটায় উনার মৃত্যু হয়।
Comments are closed.