যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষককে তারাপুরের স্কুলে বদলি! আপত্তি অভিভাবকদের: নালিশ জানালেন ডেপুটি ডিরেক্টর, ডেপুটি কমিশনারকে

শিলচরের রংপুর গভর্নমেন্ট সিনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান বড়ভূঁইয়াকে তারাপুরের শরৎ কালীমোহন প্র্যাকটিসিং মধ্য বঙ্গ বিদ্যালয়ে নিয়োগের ব্যাপারে সরব হলেন অভিভাবকরা।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শিক্ষককে এর আগে উধারবন্দ জুনিয়র বেসিক স্কুলে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি।

বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের অভিযোগ, মুজিবুর রহমান বড়ভূঁইয়া একজন যৌন অপরাধী এবং তার সহকর্মী, ছাত্রীরা তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা দায়ের করেছে। অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া আবেদনে লেখা হয়েছে, “আমরা জানতে পেরেছি যে, কর্তৃপক্ষ সাবেক প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বড়ভূঁইয়াকে শরৎ কালীমোহন মধ্য বঙ্গ প্র্যাকটিসিং স্কুলে ট্রান্সফার করতে ইচ্ছুক। ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রংপুর সিনিয়র বেসিক স্কুলের মহিলা কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী এবং রান্না করার লোক দ্বারা যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। “।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ ৩৫৪ এবং ৫০৬ মোতাবেক মামলা নং ৮৫১/২০১৮ জনাব মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পকসো আইনে দায়ের করা হয়েছিল। এ কারণে তিনি প্রায় তিন মাস কারাগারে ছিলেন এবং এখনও তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আসামের প্রাথমিক শিক্ষার পরিচালক তাকে উধারবন্দ গভর্নমেন্ট প্র্যাকটিসিং স্কুলে স্থানান্তর করার আদেশ দিয়েছিলেন। সিনিয়র বেসিক স্কুল হলেও স্থানীয় জনতা ও অভিভাবকরা তাকে সেখানে যোগ দিতে দেননি। এমনকি আরকাটিপুরের অভিভাবকরাও সিনিয়র বেসিক স্কুল এই ব্যক্তিকে তাদের স্কুলেও যোগদান করতে দেয়নি”।

এমতাবস্থায় এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে এই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরাও দাবি জানিয়েছেন। ছাত্রীর অভিভাবক মধুমিতা শর্মা বলেন, “আমরা এমন একজন শিক্ষককে সহ্য করব না যিনি যৌন হয়রানি করেছে এবং এর জন্য তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের অবসরের আর এক বছর রয়েছে এবং আমরা চাই তিনিই এই পদে থাকুন। মুজিবুর রহমানকে নিয়োগ দিলে আমরা এর প্রতিবাদ করব, তার মতো শিক্ষককে কোন স্কুলই চায়না।”