
জমি কেলেঙ্কারি: ডিসি অফিসের কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকল কাছাড় পুলিশ
শিলচরে জমি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে অভিযান এবার জেলা শাসক (ডেপুটি কমিশনার) এর কার্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যেও ত্রাসের সঞ্চার করেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জেলা শাসক কার্যালয়ের অনুমতি (পারমিশন) শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রণয় চক্রবর্তীকে আজ শিলচর সদর থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চক্রবর্তীকে আজ সকাল ১১টায় তলব করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি থানায় রয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ বছর ধরে তিনি অনুমতি শাখার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কাছাড় জেলার অন্যান্য কর্মচারীদের অফিস বদল হলেও তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমতি বিভাগের সাথে যুক্ত আছেন, যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেরেঙ্গা দ্বিতীয় খন্ডের এক জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাঁকে তলব করা হয়েছে।
টিটু মজুমদার বিগত ২৩শে অক্টোবর একটি প্রাথমিক এজাহার দায়ের করে অভিযোগ করেছিলেন যে তার নামে নিবন্ধিত একটি প্লট জাল নথির ভিত্তিতে বিক্রি করা হয়েছে। বরাক বুলেটিনের সঙ্গে আলাপকালে মজুমদার বলেন, তাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ডিমাপুরে। “আমাদের বাবা-মা আমার এবং আমার ভাইয়ের জন্য অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন। ২০১৩ সালে আমার বাবা মারা যান এবং ২০১৫ সালে, আমি এবং আমার ভাই, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভাগ বাটোয়ারা করেছি। ১০ অক্টোবর আমি আজমির যাওয়ার পথে শিলচরে গিয়েছিলাম। তারপর আমি জানতে পারি যে আমার প্লটে কিছু নির্মাণ কাজ চলছে। সাথে সাথে, আমি প্লট পরিদর্শন করি এবং তাদের মুখোমুখি হই। তারপর আমি জানতে পারি যে, কিছু দুর্বৃত্ত আমার প্লটের জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করেছে,” টিটু মজুমদার বলেন।
তিনি শিলচর সদর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন এবং তার ভিত্তিতে ২১শে নভেম্বর কাছাড় পুলিশ এই বিশেষ চুক্তির মোহরিরের সহকারী হিসাবে কাজ করা শাহিন বড়ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করে।
কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ২ বিঘা জমির কোনো বৈধ দলিল ছাড়াই মালিকানা বদল হলেও জমির প্রকৃত মালিক এই লেনদেন সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গ জানতেন না। শাহিনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কাছাড় পুলিশ প্রণয় চক্রবর্তীকে ডেকে নিয়ে বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জল কতদূর গড়াবে এখনই অনুমান করা মুশকিল।
Comments are closed.