লালায় হনুমান মন্দিরে লুঠ, চোরের স্বর্গরাজ্যে পরিণত বরাক
বরাক উপত্যকায় একের পর এক চুরির ঘটনার সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মানুষের শঙ্কা । ঘরবাড়ি, অফিস ও কমপ্লেক্সের পর এখন মন্দির থেকে পর্যন্ত চুরির খবর আসছে। আজ সকালে লালার হনুমান মন্দিরে প্রবেশ করতেই ভক্তরা হতবাক হয়ে পড়েন।
আজ মঙ্গলবার এবং বিশ্বব্যাপী হিন্দু ধর্মালম্বীরা হনুমানকে পুজো করে প্রসাদ নিবেদন করেন। আজ যখন ভক্তরা মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তখন তারা দেখতে পান যে সমগ্র মন্দির চত্বরে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ভগবান হনুমানের ত্রিশূ্ল উনার হাতে না থেকে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান ভক্তরা। মন্দিরের দান বাক্সটি ভাঙ্গা ছিল এবং তার ভেতরে থাকা অর্থ চোররা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
ভক্তগণ অবিলম্বে বিষয়টি সম্পর্কে মন্দির কর্তৃপক্ষকে অবগত করান। মন্দির কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য প্রকাশ চন্দ্র সুরানা ও অন্যান্যরা মন্দিরে পৌঁছানোর পর লালা পুলিশকে খবর দেন। আমাদেরকে একটি সূত্র জানায় যে চুরি কাণ্ডটি রাত্রে বেলা ভারী বর্ষণের সময় অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংঘঠিত করা হয়। লালা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি এরকমই আরেকটি অনুরূপ ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছিল পাঁচগ্রাম থেকে, যেখানে এইচপিসি টাউনশিপের মহা কালীবাড়িতে কিছু মানুষ ঢুকে চুরি সংঘটিত করে। সেখানেও ঠিক একইভাবে দান বাক্স লুট করা হয় এবং চোররা দেবীর অলঙ্কারগুলিকে পর্যন্ত চুরি করার দুঃসাহস দেখিয়েছিল। তবে শুধুমাত্র মন্দিরই নয়, সাধারণ চুরির ঘটনাও উপত্যকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে সকাল সাড়ে দশটার সময় ছিনতাইবাজরা রেড ক্রস হাসপাতালের সন্মুখে থাকা একটি গাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। রাম নবামীর প্রাক্কালে আম্বিকাপট্টিতে চোররা দুটি ঘরে ঢুকে টিভি, নগদ অর্থ এবং গয়না চুরি করে চলে যায়। এক সপ্তাহ আগে মেহেরপুরের শিবালক পার্কে একটি ত্রিতল ভবন থেকে বাজাজ পালসার বাইক চুরি করা হয়।
বারংবার সংঘটিত হওয়া এই ঘটনাগুলি লোকজনদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং তারা ঘরে তালা লাগিয়ে যেতেও ইতস্তত বোধ করছেন। জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে এই ঘটনাগুলি রোধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আপনারাও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন। নিশ্চিত করুন যে ঘর থেকে বের হবার আগে আপনি আপনার ঘরে ভালো করে তালা লাগিয়েছেন এবং সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
Comments are closed.