Also read in

শিলংয়ে উত্তেজনা অব্যাহত : গতকাল বিকেল থেকে সমগ্র শিলং নগরীতে জারি করা কার্ফু আজ কিছু কিছু জায়গায় সকাল পাঁচটা থেকে শিথিল

শৈল শহর শিলং থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ খবরে জানা গেছে যে দুদিন মোটামুটি শান্ত থাকার পর গত পরশু রাত থেকে শহরের কয়েকটি অঞ্চলে বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেল চারটে থেকে সমগ্র শিলং নগরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। গত রোববার রাত প্রায় দশটায় ৪০০ জনের এক দল উত্তেজিত জনতা সিআরপিএফ এর ক্যাম্প আক্রমণ করার বিফল প্রয়াস চালায়। গতকাল বিকেলে আবার আরেক দল স্থানীয় জনতা সেক্রেটারিয়েট ভবন আক্রমণের প্রচেষ্টা করে। কাঁদানে গ্যাস এবং শূন্যে গুলি চালানোর মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করা হয়।

শিলংয়ের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শিলংয়ে অতিরিক্ত আরও দশটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি প্রেরণ করেছে। প্রশাসন পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে এবং স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অধিক বাহিনী নিয়োগ করা সহ কয়েকটি এলাকায় সেনাবাহিনীর ফ্ল্যাগ মার্চ অব্যাহত রাখা হয়েছে। শিলংয়ে গতকাল বিকেল থেকে সান্ধ্য আইন জারি করার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে বহু সংখ্যক যাত্রী ও পর্যটক আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনগণকে সান্ধ্য আইন শুরু হাওয়ার প্রাক মুহূর্তে বাজারগুলিতে ভীড় করে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে দেখা যায়।

এদিকে দিল্লী ও পঞ্জাব থেকে আসা বিভিন্ন শিখ নেতা, মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন। তিনি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবরে জানা গেছে যে মেঘালয় সরকার শিলংয়ে অবস্থিত হরিজন কলোনি শহরের বাইরে সরিয়ে দেবার প্রস্তাব বিবেচনা করছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, শৈল শহরে এই অশান্তির ফলে বরাকের সাথে স্থলপথে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। খুব কম সংখ্যক যানবাহন শিলং এবং শিলং হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে চলাচল করছে।

Comments are closed.