
'বাঘ এসেছে'! কাটাখালের কালীনগরে সতর্কতা জারি করল বন বিভাগ; "বাঘ নয়"- বিশেষজ্ঞ
এক দুদিন পরে পরেই বরাক উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বাঘ বেরোনোর গুজব স্থানীয় জনতার মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে।এবার লাইমলাইটে কাটাখাল। গত রাতে, বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করে মানুষকে তাদের নিজ নিজ বাড়ির ভেতরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
শিলচর-বদরপুর জাতীয় সড়কের পাশে কাটাখালের কালীনগর এলাকায় গোপাল গোবিন্দ জিউর আখড়ার বাউন্ডারির ভিতরে বাঘের দেখা পাওয়ার খবরে গতকাল বিকেল থেকে তোলপাড় গোটা এলাকা।
হাইলাকান্দি জেলা বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকযোগে আবেদন জানানো হয়েছে যে, “বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটা নাগাদ কালীনগর শ্রী শ্রী গোপাল গোবিন্দ জিউর আখড়ার বাউন্ডারির ভিতরে একটি বাঘ ঘোরাফেরা করতে দেখতে পান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার জন্য জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাইলাকান্দি জেলা বন বিভাগের আধিকারিক অখিল দত্ত ও কাটাখাল বন বিভাগের বিট অফিসার অভিনয় দেব।”
ইতিমধ্যে প্রাণীটির কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা এটি একটি বাঘ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ছবিগুলো অস্পষ্ট হলেও বিশেষজ্ঞ বলেন “পরিষ্কার চিত্রগুলি আমাদের প্রাণীটিকে সনাক্ত করতে সহায়তা করবে, তবে এটি নিশ্চিতভাবে বাঘ নয়।”
একজন অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এটি একটি বুনো বিড়াল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা রিড ক্যাট বা সোয়াম্প ক্যাট নামেও পরিচিত যা এই অঞ্চলে সাধারণত পাওয়া যায়। এটি একটি চিতাবাঘ বিড়ালও হতে পারে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন। এই অঞ্চলে দেখতে পাওয়া আরেকটি সাধারণ প্রাণী হল সিভেট বিড়াল। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে কাটিগড়ায় রাস্তার মাঝখানে একটি চিতা বিড়াল মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনেকের সন্দেহ, এটি কোনো গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়।
প্রাণীটির শনাক্তকরণে এখনও স্পষ্টতার অভাব রয়েছে। আশা করা যায়, বন বিভাগের কর্মকর্তারা দিনের আলোতে এটিকে সনাক্ত করবেন এবং সঠিক শনাক্তকরণের জন্য আরও ভাল ছবি সামনে আসবে।
Comments are closed.