
Administration was informed well in advance about the bus from Ajmer
আজমির থেকে একটি বাস কাছাড়ে আসছে, এটা জানতেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা;জেলা এখনো গ্রিন জোনে
আজমির থেকে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস কাছাড়ে আসছে এব্যাপারে জানতেন কাছাড় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ তথ্য আগেই দেওয়া হয়েছিল এবং বাসটি যখন শ্রীরামপুর থেকে রওনা দেয় তখনও কাছাড়কে জানানো হয়েছিল, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা শনিবার এটা স্বীকার করেন। বাসের যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন পরবর্তীতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শুক্রবার দাবি করেছিলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই বাসটি কাছাড়ে এসেছে। এতে জনমনে বেশ অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। তবে এবার কাছাড় জেলা প্রশাসন বলছেন তারা খবরটি জানতেন।
বুধবার সকালে কাছাড় জেলায় বাসটি ঢোকার পর এখন পর্যন্ত দশজন যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একজন ছাড়া বাসের বাকি যাত্রীরা কাছাড় জেলার। তাদের প্রথমে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা যেসব এলাকায় গেছেন সেই এলাকাগুলোকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের ট্রেস করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আজমির থেকে আসা বাসের যাত্রী এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২০২ জন ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সরকারি বুলেটিনে অংশ নিতে গিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সত্যওয়ান কথাগুলো জানান। তার সঙ্গে ছিলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ সুদীপ জ্যোতি দাস, চিকিৎসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, ডিএমই সুমন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
সুমিত সত্যওয়ান জানান, কীর্তি জল্লি জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিভাগের অধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাছাড় জেলা কতটুকু তৈরি হয়েছে এসব দেখেন তিনি।
একটি ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে, সরকারের নতুন নীতি অনুযায়ী উত্তর-পূর্বের বাইরে থেকে যারাই কাছাড়ে আসবেন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে এবং তাদের সোয়াব টেস্ট করানো হবে। এ ব্যাপারে নজরদারি রাখতে বিশেষ দল গঠন করা হবে। রামনগর আইএসবিটিতে ডাক্তারদের একটি বিশেষ দল থাকবে, যাত্রীদের লালার নমুনা সেখানেই নিয়ে নেওয়া হবে যাতে প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি এগোয়।
কাছাড় জেলা এখন পর্যন্ত গ্রিন জোনেই রয়েছে এবং সরকারি তরফে জোন পরিবর্তনের কোনও নির্দেশ এখনো আসেনি।
Comments are closed.