
Akhanda Sangha Pradhan Tapan Brahmachari asks disciples to remain hygienic
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রত্যেকেই সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের সমাবেশ থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব প্রবর্তিত অযাচক আশ্রমে জগন্মঙ্গল উদ্দেশ্যে সমবেত উপাসনা অনুষ্ঠিত হয়। অযাচক আশ্রমের বর্তমান প্রধান তপন ব্রহ্মচারী এক নির্দেশে স্বামী স্বরূপানন্দের প্রত্যেক শিষ্যকে পরিছন্নতা বজায় রেখে সমবেত উপাসনালয় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। করণা আতঙ্কে সমবেত উপাসনাবাদ না দিয়ে পরিছন্নতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার কলকাতা থেকে নির্দেশে তিনি বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্বোচ্চ আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাস এখনো মহামারীর রূপ নেয় নি। এতে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই তবে অতি অবশ্যই সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবামনির প্রাণপ্রিয় অনুষ্ঠান সমবেত উপাসনায় যোগদান করতে আমি কাউকে বারণ করব না কিন্তু প্রতিটি উপাসনা স্থলে সাবান এবং পরিষ্কার জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রত্যেক উপাসক এবং উপা শিক্ষার প্রতি আমার নির্দেশ, আপনারা সমবেত উপাসনায় বর্ষার আগেই এবং উপাসনার শেষে প্রসাদ গ্রহণের আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। যারা সমবেত উপাসনার ভোগ নৈবেদ্য তৈরি করবেন, অর্থাৎ নারকেল নাড়ু তৈরি করা, গুড় দিয়ে খই পাক দেওয়া, ফল কাটা ইত্যাদি কাজে যোগ দেবেন তারা প্রত্যেকেই কাজের আগে প্রত্যেক বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। সমবেত উপাসনায় খই নারকেল নাড়ু ও ফল ভোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। উপাসনার পর গুরুভাতারা একে অন্যকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকবেন।
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবামনি সূক্ষ্ম দেহে প্রতিটি সমবেত উপাসনায় আমাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকেন। সমবেত উপাসনা যোগদান করলে আমাদের বিপদ হতে পারে এই চিন্তা বাতুলতা মাত্র। কিন্তু যারা হাঁচি সর্দি কাশি অথবা জ্বরে ভুগছেন, তারা অতিসত্বর চিকিৎসকের মতামত নিন এবং তাদের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করুন। কেউ যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাকে বলব আপনি আপাতত সুস্থ হওয়া পর্যন্ত উপাসনায় যোগ দেবেন না।
সামাজিক গণমাধ্যম এর দ্বারা প্রভাবিত হইবেন না নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। অনেকে প্রশ্ন করেছেন তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কি না? আমার উত্তর হ্যাঁ। কেননা আমার মৃত্যুর সময় পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবাবামনি নির্ধারিত করে রেখেছেন, এতে মৃত্যুর আগে বারবার মরতে আমি রাজি নই। ইতি নিত্যশুভার্থী আপনাদের দাদা মনি (তপন ব্রহ্মচারী)’।
শিলচর অযাচক আশ্রম পক্ষ থেকে তপন ব্রহ্মচারী নির্দেশটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, শিলচর সহ বরাক উপত্যকার প্রত্যেক অখন্ড ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি এই নির্দেশটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন।
Comments are closed.