Boeing 777-300 ER aircraft is likely to land at Kumbhirgram Airport, Authorities are on preparation
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী ২৩ জানুয়ারি অসম সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তার সফর নিয়ে কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর ভিভিআইপি বিমান অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রথম ভিভিআইপি বিমান হচ্ছে বি৭৭৭-৩০০ ইআর, মূলত প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি এই মডেলের বিমানে চড়েন। যেকোনও বিমানবন্দরে এই বিমান অবতরণ হয়না, কারণ এর আকার এবং ওজন সাধারণ বিমান থেকে বেশি।
কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমানটি শিলচরে নামানো সম্ভব কিনা এই বিষয়ে যাচাই করতে তাদের উপর নির্দেশ রয়েছে। তাদের রানওয়ে এত বড় বিমান সামাল দিতে পারবে কিনা, বিশাল বড় পাখার বিমান এখানে নামানো এবং প্রয়োজনমতো ঘোরানো যাবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা গেছে কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমানটি অবতরণ করানো সম্ভব। তবে এর পিছনে কি পরিকল্পনা রয়েছে সেটা তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানাননি। তবে এটুকু স্পষ্ট বিমানটি কোনও বাণিজ্যিক কারণে আসছে না, বলা হয়েছে একজন ভিভিআইপি আসবেন।
গতবছর অক্টোবর মাসে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ভারতবর্ষে এসেছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান হিসেবে গণ্য হয়। স্টেট অফ আর্ট পর্যায়ের বিমানটি এখন পর্যন্ত ভারতবর্ষে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর জন্যই বরাদ্দ রয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কথায় কথায় বলেছিলেন ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসম সফরে আসতে পারেন। যদিও এব্যাপারে এছাড়া কোনও কথা হয়নি, তবে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং প্রচারের বিভিন্ন দিক দেখতে ইতিমধ্যে অমিত শাহ থেকে শুরু করে দলের প্রথম সারির নেতারা গত একমাসে অসমে এসেছেন। নরেন্দ্র মোদির পরে কেন্দ্র সরকারের তিনজন সবথেকে শক্তিশালী চেহারা অমিত শাহ, নীতিন গাডকারি এবং জেপি নাড্ডা পরপর অসম পরিদর্শন করেছেন। অমিত শাহ ছাড়া বাকি দুইজন বরাক উপত্যকায় প্রথমে এসেছেন। দলের তরফে আগামী নির্বাচনের প্রচার বরাক উপত্যকা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। জেপি নাড্ডা নিজে শিলচরে এসে বিজয় সংকল্প সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের সূত্রপাত করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাক উপত্যকা পরিদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার আসেন এবং নির্বাচনে উপত্যকার দুই আসনেই বিজেপির প্রার্থীরা জয়ীও হন।
জেপি নাড্ডা শিলচর সফরকালে বলেছিলেন, ‘২০১৬ সালে অসমে বিজেপি জয়ী হওয়ার পর এই রাজ্যে কোনও নির্বাচনে তারা পরাজিত হননি।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বরাক উপত্যকা থেকেই অসমে বিজেপির জয় যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাই তারা এই অঞ্চলকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন।’
বিভিন্ন দিক যাচাই করলে এটুকু বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী অসম সফর করলে তার বরাক উপত্যকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি।
Comments are closed.