Also read in

Crowd captures Three decoits at Silicoorie: 1 dead, 2 injured admiited in SMCH

মারুতি ভ্যানে চেপে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার গণধোলাইয়ে মারা পড়ল এক ডাকাত। ধোলাইয়ের শিকার হয়ে আহত তার দুই সঙ্গী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।

ঘটনা সোমবার ভোররাতে শিলকুড়িতে; দেরিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর রাতে শিলকুড়ি তেমাথায় ঘটে এই ঘটনা। এই ঘটনায় নিহত হয়েছে কুখ্যাত ডাকাত কুনিয়া রবিদাস(৩০), গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে জয়নুল ইসলাম লস্কর(৩০) এবং নুরুল ইসলাম লস্কর, এরা দুজনই শিলচর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। কুনিয়া রবিদাস শিলচর থানা এলাকার বাগপুর প্রথম খন্ডের বাসিন্দা। দুই আহত সঙ্গী জয়নুল এবং নুরুল সোনাবাড়ি ঘাট প্রথম খন্ডের।

জানা গেছে, কুনিয়া জয়নুল ও নুরুল ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ মারুতি ভ্যানে চড়ে শিলকুড়ি হয়ে যাওয়ার সময় প্রহরারত গ্রামরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহবশত গাড়িটিকে থামানোর জন্য ইশারা করেন। তবে বিপদের গন্ধ পেয়ে ডাকাতদল গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত বেগে পালাতে উদ্যত হয়। গ্রাম রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতার সঙ্গে গাড়িটিকে আটকাতে সক্ষম হন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশেপাশের জনগণ সচকিত হয়ে উঠেন, জমে যায় ভিড়। তখন তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে ভোজালি, রড, রশি প্রভৃতি জিনিস উদ্ধার করেন উপস্থিত জনগন। এদের ডাকাত হিসাবেও সনাক্ত করে নেন উপস্থিত জনতার কয়েকজন। তাদের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে হাত পা বেধে চলে গণধোলাই। হই হট্টগোলের মধ্যে বাঁধন খুলে পালাতে গিয়ে কুনিয়া রবিদাস পড়ে যায় এক গর্তে। সেখান থেকে ধরে এনে চলে আবার গণধোলাই, খবর যায় পুলিশে। তিন জনকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে কুনিয়া প্রাণ হারায়, বাকি দুজন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘুঙ্গুর ফাঁড়ির ইনচার্জ জানিয়েছেন নিহত কুনিয়া সহ আহত নজমুল এবং নুরুল তিনজনই নামকরা ডাকাত। বাগপুর, সোনাবাড়িঘাট সহ আশেপাশের এলাকায় এরা দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। বছর দুয়েক আগে সোনাবাড়ি ঘটে স্থানীয় জনতা একজোট হয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ছিলেন জয়নুলের বাড়ি ঘর।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুনিয়ার মৃতদেহ সমঝে নিতে আসেন নি কেউ।

Comments are closed.

error: Content is protected !!