
করোনাকালে সম্পূর্ণ শিলচর ডি এস এর সফল ক্রিকেট মরশুম
করোনার জন্য গতবছর মাঝপথে আটকে গিয়েছিল শিলচর ডি এস এর ক্রিকেট মরশুম। বৈদ্যনাথ নাথ আন্তঃস্কুল ক্রিকেটের কয়েকটি ম্যাচ পরই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল টুর্নামেন্ট। এরপর আর সেটা সম্পূর্ণ করা যায়নি। সেই সঙ্গেই মাঝপথেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট মরশুম। তবে এবার করোনার আতঙ্কের মাঝেই একটা সফল ক্রিকেট মরশুম সম্পূর্ণ করল শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
এবার মরশুম শুরু হয়েছিল ২০ নভেম্বরে। দ্বিতীয় ডিভিশন ক্রিকেট দিয়ে। সেই সময় লকডাউনের হ্যাঙ্গওভার কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল গোটা দেশ। একই পথে হাঁটছিল আমাদের শহর শিলচরও। করোনা আতঙ্ক তাড়া করলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে খুশি ছিলেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ সময় লকডাউন এর জেরে ঘরবন্দি থাকার পর মাঠে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি ছিলেন ক্রিকেটাররাও। ডি এস এও ফের ক্রিকেট মরশুম চালু করতে পেরে খুশি ছিল।
এরপর একে একে দ্বিতীয় ডিভিশন, সুপার ডিভিশন, প্রথম ডিভিশন সহ তৃতীয় ডিভিশন, অসম প্রিমিয়ার ক্লাব কাপ, অনূর্ধ্ব ১৯ জোনাল ক্রিকেট, দু-দুটি আন্তঃস্কুল ক্রিকেট আয়োজন করতে পেরেছে শিলচর ডি এস এ। এছাড়াও এবার বরাক প্রিমিয়ার লিগের সিজন ফোর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও এর আয়োজক ছিল শিলচর ভেটেরন ক্রিকেটার্স ক্লাব। সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই একটা জমজমাট ক্রিকেট মরশুমের সাক্ষী থাকলেন স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আন্তঃজেলা ক্রিকেটে সাফল্যের ধারা বজায় রেখে এবারও অনূর্ধ্ব ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স করেছে শিলচর। দুটি টুর্নামেন্টেই রানার আপ হয়েছিল শিলচর। ঘরোয়া ক্রিকেটে এবার টানা খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। লকডাউন এর জেরে একটা মরশুম অকালে শেষ হয়ে যাওয়ার পর এবারের মরশুম ক্রিকেটারদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই খেলার সুযোগ পেয়েছেন খেলোয়াড়রা। গত মরশুমের কথা ছেড়ে দিলে এর আগেও এক মরশুমে ১১-১২টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল সংস্থা। সোজা কথায় গত কয়েক বছরে শিলচরের ক্রিকেটে টুর্নামেন্টের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা মাথায় রেখেই মরশুম শুরু হবার আগে পিচ তৈরি করে থাকেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। এবারও ৭-৮টি উইকেট তৈরি করে রাখা হয়েছিল। আর এগুলিতেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এতগুলো ম্যাচ আয়োজন করেছে ডি এস এ।
কয়েক বছর আগেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিভিশনের ম্যাচ গুলি ইন্ডিয়া ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। তবে গত দু-তিন বছরে সতীন্দ্র মোহন দেব স্টেডিয়ামেই গোটা মরশুমের সব ম্যাচ আয়োজন করতে হচ্ছে সংস্থাকে। এর কোনো বিকল্প না থাকলেও গত কয়েক বছরে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব মরশুমে পড়েনি। না হলে একটা সময় ছিল যখন মাঠের অভাবের জন্য সীমিত সংখ্যক টুর্নামেন্ট আয়োজন করত সংস্থা। মাঠ নিয়ে পরিস্থিতি একই থাকলেও মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য এক মরশুমে এতগুলো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আগামী মরশুমের জন্যও বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার। দেখার বিষয় হবে এমরশুমের মতো আগামী মরশুমে কতটা সফল হয় শিলচর ডি এস এ।
Comments are closed.