Also read in

Dispute repeats in Rojkandi TE, blank fire, tension prevails

কয়েকদিন স্বাভাবিক থাকার পর আবার উত্তাল হয়ে উঠল রোজকান্দি চা বাগান । বাগানের শাহপুর ডিভিশনে বাগান শ্রমিকদের আক্রমণের শিকার হলেন ম্যানেজার ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া। এদিকে শ্রমিকরা এক এজাহারে অভিযোগ করেছেন, উবাদিয়া শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন, এমনকি মহিলা শ্রমিকদের মারপিট ও করেছেন।

বুধবার দুপুরে ম্যানেজার তথা ডিরেক্টর ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া শাহপুর ডিভিশন পরিদর্শনে গেলে শ্রমিকদের সাথে বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বাংলোয় ফিরে আসার পর শ্রমিকরা বাংলো ঘেরাও করেন। রোজকান্দি মেচিপুর ও শাহপুর ডিভিশনের শ্রমিকরা ম্যানেজারের বাংলো ঘেরাও করে দাবি করেন যে, উয়াদিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। বাগানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসম পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রোজ কান্দি বাগানে। ছুটে গেছেন কাছাড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস ও সদর থানার ওসি দিতুমনি গোস্বামী। গভীর রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, বাগান ম্যানেজারকে ঘেরাও অব্যাহত রয়েছে।

রোজকান্দির শাহপুর বাগানের দীপক তাঁতি পুলিশে এজাহার দায়ের করেছেন ম্যানেজার ঈশ্বর ভাই উবাদিয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কার্তিক পাল, ড্রাইভার আজিম মিয়া, রোহিত চৌহান, মনোজ লোহার, রাজু লোহার ও শ্যামু গোয়ালার বিরুদ্ধে। এজাহারে বলা হয়েছে, বাগান ম্যানেজার মহিলা শ্রমিকদের সকাল ছটার আগে কাজে আসতে নির্দেশ দিচ্ছিলেন, মহিলা শ্রমিকরা আটটার আগে কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে দেওয়ার পর ম্যানেজার দীপক তাঁতির স্ত্রী শিবানী গৌড় ও মিরা বিনকে মারপিট করেন, তাদের চুল ধরে টানেন, লাথিও মারেন। অন্য শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ম্যানেজার এবং তার সঙ্গীরা। উবাদিয়ার দেহরক্ষীর বন্দুক ড্রাইভার আজিম মিয়া নিয়ে নেয় এবং গুলি চালায় শ্রমিকদের উপর, গুলি শিবানী ও মীরার শরীর ছুঁয়ে যায়। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে এই দুইজনের।

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিং এবং স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তথা কাছাড় জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রাই।

Comments are closed.

error: Content is protected !!