
Jony Nath succumbs to his burn injury after a prolong fight with death.
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার সকালে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ করলো অগ্নিদগ্ধ জনি নাথ।
গত ৮ মার্চ, শুক্রবার বিকেলে বন্ধু সুরজ নাথের সাথে এক ধাবায় বসে মোবাইলে লুুডো খেলছিল জনি। খেলার মধ্যেই দুজনের মধ্যে প্রচন্ড বাকবিতণ্ডা হয় এবং উত্তেজিত সুরজ তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শরীরে আগুন নিয়ে ঝিলমিল ধাবা থেকে বেরিয়ে দিশেহারা হয়ে জনি নরসিংহপুরের প্রধান রাস্তায় ছুটতে থাকে। এই অবস্থায় মোবাইলে অনেকে এই দৃশ্য ধরে রাখেন।
একটু পরেই জনিকে চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয। তার শরীরের ষাট শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল, ছয় দিনের মাথায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল সে।
আসাম রাইফেলসের জওয়ান সুরজ নাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে ধাবাটির মালিক শিক্ষক ও জ্যোতিষী সচ্চিদানন্দ নাথের ছেলে রানা নাথ।
বুধবার বিকেলে জনির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এলাকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানান উত্তেজিত জনগণ। এদিকে একমাত্র উপার্জনক্ষম পুত্রের মৃত্যুতে পিতা সুনীল নাথ শুধুই কান্না কাটি করে চলেছেন।
Comments are closed.