Mizoram returnee dies at Silchar Medical College, dead body to be handed over after Covid-19 test
শিলচর মেডিক্যাল কলেজে কিডনি সমস্যা এবং জন্ডিস রোগে ভোগা রাজেশ সোনার নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু লোকটি মিজোরাম থেকে ফেরত এসেছিল, ফলে মৃতদেহের সোয়াব এবং রক্ত সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে। যতক্ষণ পরীক্ষার ফলাফল আসছে না, মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিছুদিন আগে গুয়াহাটিতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর জানা গিয়েছিল সে করোনায় আক্রান্ত। এরপর থেকে যেকোনও ব্যক্তির রোগে মৃত্যু হলেও তার ট্র্যাভেল হিস্ট্রি দেখে প্রয়োজনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়। শিলচরের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, লোকটি ৫ মে মিজোরাম থেকে কাছাড়ে ফিরে। শিলকুড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজেশ সোনার কাজের সন্ধানে মিজোরাম গিয়েছিল। দীর্ঘদিন লকডাউনে আটকে থাকার পর শেষমেষ বাড়ি ফিরে। তবে প্রথম থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। এক সময় বাধ্য হয়ে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দুইদিন চিকিৎসার পর রবিবার তার মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তার মিজোরাম যাওয়ার তথ্য সামনে আসে। তার ট্র্যাভেল হিস্ট্রি থাকার পাশাপাশি তার মৃত্যুর ধরন নিয়ে ডাক্তারদের মনে সন্দেহ রয়েছে। শুধুমাত্র জন্ডিস এবং কিডনির রোগে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে ডাক্তাররা তাকে বাঁচাতে পারেননি। এবার দেখা যাক তার পরীক্ষার রেজাল্ট কি আসে। যদি সে করোনা পজিটিভ হয় তবে তার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। পাশাপাশি তাদের সব টেস্ট করানো হবে, প্রয়োজনে যে এলাকায় লোকটি গেছে সেগুলো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১২৬৫ জনের স্ক্রীনিং হয়েছে। ১০৪৭টি কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়েছে, এরমধ্যে মোট ১৪ জনের পজিটিভ এসেছে। দুই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি ১১ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
Comments are closed.