More than 500 people marched with torch in Silchar
প্রায় হাজার লোকের যোগদানে আজ সন্ধ্যায় ‘সবার জন্য সবার’ এই মশাল মিছিল এক সার্থক প্রয়াসের রূপ নিল। রাঙিরখাড়ি নেতাজির মূর্তির পাদদেশ থেকে ক্লাব রোডে ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পথচলা এই মশাল মিছিল অল বেঙ্গলি ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন, নর্থ ইস্ট লিঙ্গুইস্টিক অ্যান্ড এথনিক কো-অর্ডিনেশন কমিটি, অল আসাম বেঙ্গলি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি অসংখ্য সংস্থা এবং ব্যক্তির যোগদানে মহামিছিলে পরিণত হয়েছিল। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও বিপুল সংখ্যায় এতে শামিল হন। সবার স্বতস্ফূর্ত যোগদানে মিছিলটি সার্থক রূপ নেয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, আজকের এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল বাতিল পাঁচটি নথিকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা।
অন্যতম সংগঠক কমল চক্রবর্তী আমাদের জানালেন,”দল মত নির্বিশেষে অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন এই মিছিলে যোগদান করেছে। কনকপুর, গঙ্গাপাড়া, দুধপাতিল, তপোবন নগর, মালিনী বিল প্রভৃতি অনেক এলাকা থেকে মানুষ এসেছে। পাঁচটি নথি বাদ দেওয়ার ফলে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেছে, তাই আমরা আমাদের এই প্রয়াসকে সম্পূর্ণ সফল বলে মনে করছি।
আমরা এই বিষয়ে কোনো কৃতিত্বের দাবি করছি না, আমাদের ইচ্ছে ছিল সবাইকে ঘর থেকে বের করে আনা। এবং এতে আমরা সম্পূর্ণ ভাবে সফল। বাইরে থেকে অনেক লোক আমাদের জানিয়েছেন যে রাত হয়ে যাওয়ায় ফিরতে অসুবিধা হবে তাই তারা যোগদান করতে পারছেন না,তবে সমর্থন আছে।”
দল মত নির্বিশেষে এই প্রয়াসের সফলতায় অনেকে মতামত ব্যক্ত করছেন, ভবিষ্যতে এক ছাতার নিচে সবাইকে এনে একটা গণ আন্দোলনের রূপ দিলে সরকারের টনক কিছুটা নড়বে। এই প্রসঙ্গে অনেকে ভাষা আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ততার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন।এখন দেখার বিষয়, এই মশাল মিছিলের সাফল্যের রাস্তা ধরে এগিয়ে চলার আর কোনও প্রয়াস সামনে আসে কি না।
Comments are closed.