Also read in

Read to know a lot of facts about Masimpur Kali Bari

মাসিমপুরে অরুণাচল আশ্রমে কালী মায়ের সাধনায় স্বামী দয়ানন্দ ঠাকুর

চারদিকে অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা! শান্ত পরিবেশ! সাধু সন্ন্যাসীরা অবশ্যই ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হতে ধ্যানমগ্ন হওয়ার অভিলাষায় এমন পরিবেশেরই সন্ধান করেন। তাই যারা ধার্মিক, মায়ের পায়ে মাথা ঠেকাতে আসেন তাদের তো অবশ্যই, এমনকি যারা ঘুরতে আসেন শুধু স্থান পরিদর্শনে তাদেরও অদ্ভুত এক ভালোলাগায় মন ভরে যাবে! সাধু সন্ন্যাসীদের মগ্ন হয়ে আরাধ্যের ধ্যানের জন্য যেমন উপযুক্ত স্থল, তেমনি দৈনন্দিন টানাপোড়েন, ভিড় থেকে দূরে মনোরম পরিবেশে শান্তির দু’দন্ড কাটানোর জন্য বড়ই সুন্দর একটি স্থান- অরুণাচল আশ্রম। অনেকেই যাকে মাসিমপুর কালিবাড়ি বলে জানেন।

মন্দিরের পেছনে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষে ঘেরা বাগানে স্থানে স্থানে গাছের নীচে পাকা করে রাখা রয়েছে। সেখানে কেহবা সাধনা করছে, কেহবা একান্তে বসে নিস্তব্ধতাকে উপলব্ধি করছে।

গাছগুলোতে কলসির মত কিছু একটা রাখা দেখে কৌতূহল নিরসনে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম,পাখিদের জল খাওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।ভালো লাগল দেখে। ঠিক যেমন ভালো লাগল, প্রসাদ গ্রহণের পর নিজের থালা বাসন নিজেই ধোওয়ার রেওয়াজ দেখে। এখানে মায়ের ভক্ত সব এক। আরও একটা ব্যাপার নজরে পড়ে, এতটা মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে, সবাই যে যার কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কোথাও শান্তি কিংবা নীরবতা ভঙ্গ হচ্ছে না।

 

যতবারই এই আশ্রমে গেছি ততবারই এই আশ্রম ঘিরে নানা প্রশ্ন মনের মধ্যে বারবার নাড়া দিয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হাজির হয়েছিলাম আশ্রমের প্রধান সন্ন্যাসীর কাছে। যদিও তিনি প্রথমে মন্দির সম্পর্কে কিছু বলতে অনিচ্ছুক ছিলেন।আশ্রমের প্রচারে তারা বিশ্বাসী নন।তবু উনার সঙ্গে কথোপকথন ও আশ্রম নিয়ে প্রকাশিত কিছু বই থেকে যা তথ্য পাওয়া গেল তাতে বোঝা গেল মুক্তি সাধনায় এই অরুণাচল আশ্রমের অবদান অপরিসীম।

১৩১৫ বাংলার পৌষ সংক্রান্তির দিনে, ইংরেজি ১৩ জানুয়ারি ১৯০৯ সালে শিলচর থেকে তিন মাইল পশ্চিমে বরবক্রের তীরে টিলাইন পাহাড়ের উপরে শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব অরুণাচল আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আশ্রমে দক্ষিণা কালী মায়ের মূর্তি স্থাপন করেন। মূর্তি আনা নিয়ে একটি সুন্দর ঘটনা রয়েছে। শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব সেই ঘটনার কথা পরে ভক্তদের কাছেও বলেছিলেন। সেদিন স্টিমারে উঠে চিন্তা করছিলেন, মূর্তি আনতে গিয়ে যদি তৈরি মূর্তি না পাওয়া যায়? তাহলে কোন কারিগরের কাছে অর্ডার দিলে সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি পাওয়া যাবে। সঙ্গে আশ্রম স্থাপন নিয়েও চিন্তায় মগ্ন হয়েছিলেন। এমন তন্দ্রাভাবের মধ্যে তিনি দেখেন, কাশীরাম স্টেশনে নেমে একজন বাঙালিকে তিনি জিজ্ঞেস করছেন, এখানে কোথায় মূর্তি পাওয়া যায়? ঠাকুর দক্ষিণা কালী মূর্তির কথা বললে ভদ্রলোক অবাক হয়ে বলেন, চলুন আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি দোকানে। পথে যেতে যেতে ভদ্রলোক জানালেন, যে তাদেরই একটি ছোট কারখানায় একজন কারিগর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে একটি কালি মূর্তি তৈরি করেছেন। কথাটি বলে যখন সে ওই দোকানে গিয়ে মায়ের মূর্তি দেখাল, সঙ্গে সঙ্গে দয়ানন্দের তন্দ্রা ভঙ্গ হয়ে যায়। কাশীধাম স্টেশনে নেমে যেমনটি স্বপ্ন দেখেছিলেন তেমনটি একটার পর একটা ঘটনা ঘটতে লাগল। ঠাকুরকে দর্শন করা মাত্র দোকানের মালিক অর্থাৎ সেই প্রধান কারিগর সহদেব তাঁকে বললেন,” আপনি কি মায়ের মূর্তি নেয়ার জন্য এসেছেন? আমি মূর্তিটি তৈরি করে রেখেছি স্বপ্নাদেশ পেয়ে, মা নির্দেশ দিয়েছেন এক টাকা দরে আপনাকে তা যেন বিক্রি করি”। মাকে দর্শন করে ও মায়ের রূপ দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে “মা আনন্দময়ী” নামটি উচ্চারণের মাধ্যমে তখনই মনে মনে মায়ের নামকরণ হয়ে যায়। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, পরে প্রতিষ্ঠাকালে একজন ভৈরবী এসে মায়ের নাম ‘আনন্দময়ী’ রেখেছিলেন।

 

এদিকে অরুণাচল আশ্রম বিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ বই থেকে আরো জানা যায়,দয়ানন্দ ঠাকুর যেদিন মায়ের মূর্তি ক্রয় করে আনবেন সেদিন হঠাৎ মহাদেব দর্শন দিয়ে বলেছিলেন, “শুধু মাকেই আনবি? আমাকে আনবি না”? ঠাকুর উত্তরে বলেছিলেন,” বাবা,তোমাকে নেব কি করে?” বিশ্বনাথ উত্তর করলেন,” আমি ওই কারিগরের ওখানেই থাকবো”। সহদেব কারিগর এর আগে স্বপ্নে দেখেছেন, মহাদেব তাকে বলছেন তাঁর মূর্তি বানানোর জন্য এবং একজন সাধু এলে তা বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার জন্য। এভাবেই দয়ানন্দ ঠাকুর মহাদেবকেও এনে আশ্রমে প্রতিষ্ঠা করেন।

 

আশ্রম প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে মা আনন্দময়ীর মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রসাদ বিতরণে জাতি বিচারকে উপেক্ষা করে তিনি হিন্দু মুসলমান ইহুদি খ্রিস্টান সব ধর্মাবলম্বীকে আশ্রমে সাদরে স্থান দিয়েছিলেন। আশ্রমের প্রতিষ্ঠিত পত্রে লেখা ছিল,” এই আশ্রম ধর্মপ্রাণ যেকোনো সম্প্রদায়ভুক্ত সরল বিশ্বাসী ধর্মীয়দের নিকট চির উন্মুক্ত থাকিবে,সর্বধর্ম সমন্বয়ই আশ্রমের উদ্দেশ্য।”

অনুমান করা হয়, তেরশো সাত সালে দয়ানন্দ ঠাকুরের স্বামীজীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন তিনি গৌহাটিতে চাকুরি করতেন। বয়স ছিল ২১ বা ২২। স্বামীজি দয়ানন্দ ঠাকুরের সঙ্গে সবার সামনে দেখা করতে চান নি, তিনি পরে এসে দেখা করতে বলেন। স্বামীজীর সঙ্গে পরে দেখা করতে গেলে স্বামীজি দরজা বন্ধ করে দেন এবং রুদ্ধ কক্ষে দয়ানন্দ ঠাকুরকে বললেন “এখন আমি বুঝলাম, মা কামাখ্যা কেন আমাকে এখানে এনেছেন”। স্বামী বিবেকানন্দ দয়ানন্দ ঠাকুরকে বলেছিলেন,” আমার মধ্যে একটি সিংহ কাজ করছে কিন্তু তোমার মধ্যে দুটি সিংহের কাজ হবে। ঠাকুর রামকৃষ্ণ তোমার বক্ষ আসনে বসা। তোমার ভ্রূযুগলে স্বয়ং যেন মা কালী দাঁড়িয়ে আছেন। তুমি কে, সেটা অতিসত্বর ই বুঝতে পারবে। যাতে করে নারী-পুরুষের সমান অধিকার হয়, সেজন্য তুমি কাজ করবে।” বলা বাহুল্য, স্ত্রী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা তাঁর কর্মকাণ্ডে এক বিশেষ স্থান পায়।

তার আগে তিনি পায়ে হেঁটে মানস সরোবরে যান। একজন সন্নাসীর আদেশে। তখন তার বয়স ১৭ বা ১৮। জানা যায়, ওইখানে তিনি শিবের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন।

 

এর পরের ঘটনায় জানা যায়, একদিন অফিসে বসে কাজ করার সময় তিনি আদেশ পান, যে কামাখ্যার গুহায় তার গুরু ধ্যানমগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। সেখানে গুরুকে না পেলে নিকটবর্তী গুহায় সাধনায় লিপ্ত হতে তাঁকে আদেশ করা হয়। তিনি যথারীতি গুরুর সঙ্গে গুহায় দেখা করতে যান। কিন্তু অনেকগুলো গুহায় সন্ধান করেও গুরুর দেখা পেলেন না‌। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও গুরুকে না পেয়ে তিনি ষোড়শী পাহাড়ের কাছে একটি গুহায় ধ্যানে বসেন। একদিন দুদিন করে কয়েকদিন সাধনা করার পর অষ্টমদিন রাতে হঠাৎ নীলাভ জ্যোতির মত এক আলো এসে তাঁর মুখে পড়ল। চারিদিক আলোকিত হয়ে গেল। এরপর আলোটি চলতে শুরু করে, তিনিও সেই জ্যোতিকে অনুসরণ করে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে নিবিড় জঙ্গলে প্রবেশ করেন। ওই নীলাভ আলো এক গুহায় প্রবেশ করল। তিনিও পেছনে পেছনে প্রবেশ করেন। ওই গুহার ভেতরে বিরাট বপু, বিরাট জটাধারী একজন সন্ন্যাসী বসে ধ্যান করছেন। বসা অবস্থায়ই সন্ন্যাসীকে উনার চাইতে লম্বা দেখাচ্ছিল। তাঁর কপাল থেকে জ্যোতি ছুটে ঠাকুরকে স্পর্শ করল।সেই সন্ন্যাসী এরপর দয়ানন্দকে বললেন, আমিই তোমাকে আনিয়েছি। বেল পাতা সহ যাবতীয় সামগ্রী রয়েছে, তুমি যজ্ঞ শুরু কর। দয়ানন্দ যজ্ঞ শুরু করলেন। ১০৮টি বেলপাতা ছিল। সবচেয়ে শেষের বেলপাতাটি আকারে বড় ছিল। বেলপাতাটি যজ্ঞের আগুনে পুড়েনি বরং আহুতির এক মিনিটের মধ্যেই যজ্ঞের আগুন নির্বাপিত হয়ে যায়। তিনি বিল্বপত্রটি উঠিয়ে নিয়ে আসেন। ওই বেল পাতাটিতে একটি বীজ মন্ত্র লেখা ছিল। সন্ন্যাসী বললেন, এটি তোমার দীক্ষা মন্ত্র। প্রণাম করে তিনবার বল।

তারপর সন্ন্যাসী বললেন, বিল্ব পত্রের অপরদিকে কি লেখা আছে দেখো। দয়ানন্দ ঠাকুর পড়ে দেখলেন অপরদিকে অবতার পুরুষ শ্রী গৌরাঙ্গের নাম লেখা। সন্ন্যাসী বললেন, “পূর্বজন্মে তুমি তাই ছিলে”।

সন্ন্যাসী তারপর দয়ানন্দ ঠাকুরকে আরও বললেন, তুমি এবারে পৃথিবীতে এসেছো মানুষের মঙ্গলের জন্য। এ কাজের জন্য তুমি অদূর ভবিষ্যতে ৫ জন যুবককে পাবে। কিছুদিন পরে তুমি বরবক্র নদীর পাড়ে যাবে। এরপর পাহাড়ের উপরে বিশ্ব শান্তির অধিষ্ঠাত্রী রূপে মায়ের প্রতিষ্ঠা করবে।

 

এর কিছুদিন পর তিনি শিলচর বদলি হয়ে আসেন। একদিন ঘুরতে ঘুরতে সন্ন্যাসীর উচ্চারিত স্থানে এসে দাঁড়ান। তিনি তখন এই স্থানে একটি প্রকাণ্ড বাঘ ও তার গলায় জড়িয়ে থাকা সাপ দেখতে পান। তিনি বাঘকে উদ্দেশ্য করে হুংকার ছোড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বাঘটি চলে যায় এবং সাপটিও। দয়ানন্দ বুঝে নিলেন এই স্থানটি মন্দির স্থাপনের জন্য উপযুক্ত। ওই সময় এই এলাকার ৫ জন যুবক এসে তাকে বলেন যে তাঁরাও তাঁর সঙ্গে আছেন এবং তাঁরাও সাধনের মাধ্যমে মাকে পেতে চান। সবাই তখন চাকুরি করতেন। তাই রাত্রিবেলা সবাই সাধনে বসতেন। এভাবেই সাধন করতে করতে একদিন মা তাদের দেখা দেন। দেখা দিয়ে বলেন, ‘প্রাণগৌর নিত্যানন্দ’ নামই তোমরা প্রচার করবে। তাতেই আমি সন্তুষ্ট থাকব।তাহলেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে’। এর পরই মন্দির স্থাপিত হলো। অনেক জায়গা থেকে সাধু-সন্তরা মন্দিরে আসতে থাকেন। দয়ানন্দ ঠাকুর জানতেন মায়ের আশীর্বাদে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু কিভাবে হবে সেটার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। হবিগঞ্জে তাঁর বাড়ির সামনে হাওরের মধ্যে জলা জায়গায় একটি আশ্রম ছিল। ১৯১২ সালে ওই আশ্রমে তিনি কুটির বানিয়ে বিশ্বের শান্তির জন্য ৮ মাস তপস্যা করেন। তপস্যায় খুশি হয়ে মা দেখা দিয়ে দয়ানন্দকে জানালেন, কিভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। সেই পথ ধরেই দয়ানন্দ আজীবন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়ে যান।

 

দয়ানন্দের পৌরহিত্যে বিশ্বহিত মহাযজ্ঞও অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, এই মন্দির প্রাঙ্গনে যজ্ঞস্থলে একদিকে যেমন স্বামী সত্যানন্দ স্বামী হংসানন্দরা ছিলেন, তেমনি সাধক আফতাব উদ্দিন খাঁ, এন এজরা সাহেব(ইহুদি)দের মত লোকরাও ছিলেন। সে যজ্ঞে ঠাকুর উচ্চারণ করেছিলেন,” আমরা এক জাতি- মানব জাতি”।

বলা বাহুল্য, আজকের এই কঠিন সময়ে এই কথার মূল্য অনেক।এই কথাটার প্রকৃত অর্থ যদি আমরা অনুধাবন করতে পারি, তাহলে আজকের পৃথিবীর জ্বলন্ত সমস্যা গুলোর অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।

দয়ানন্দ ঠাকুর সারা জীবন আশ্রমের মধ্যে এবং আশ্রমের বাইরে বিশ্ব শান্তির প্রচেষ্টায় কাজ করে গেছেন। তার কর্মযজ্ঞ এতটাই ব্যাপক ছিল যে, একদিকে যেমন তাকে দেশের এবং দশের কাজের জন্য থানা পুলিশ করতে হয়েছে,তেমনি “প্রাণ গৌড়” নামে কীর্তনের মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে তুলেছেন। শোনা যায়, তিনি যখন কীর্তন গাইতেন তখন বহু মুসলমানও কীর্তন দেখতে আসতো। তাকে এক সময় একদিন অন্তর অন্তর থানাতে হাজিরা দিতে হতো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁর কীর্তনে দেশ মেতে উঠে, তাই তিনি আর কীর্তন করতে পারবেন না। জীবনের শেষের দিকে যখন তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে তখনো তিনি ভক্তদের জন্য নানা রূপ যাগ-যজ্ঞ অখন্ড নাম কীর্তনাদির ব্যবস্থা করতেন।

১৩৪৪ বাংলা ১২ শ্রাবণ নাম কীর্তন শুনতে শুনতে শ্রী দয়ানন্দ ঠাকুর ইহলোক থেকে পরলোকে গমন করেন। ” সকলে নিরভিমান হও”, ” সিট টাইট ইন ইওর ওন প্লেস”, ” আমি নিজে যদি না থাকি, তোমরা যদি কেহই না থাকো, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা কার্য অবধারিতভাবে চলবে”।এগুলোই ছিল ভক্তদের প্রতি তার শেষ উপদেশ। এখন ভক্তদের উপর নির্ভর করছে,তারা তাঁদের ঠাকুরের সেই উপদেশকে কতটা এবং কিভাবে বাস্তব রূপ দেবেন।

Comments are closed.