Silchar city is getting a new look, activities are at its peak.
শহর শিলচরকে সাজিয়ে তোলার প্রয়াস এবং তৎপরতা চলছে অনেকদিন ধরে; তবে ইদানিং কালে তাতে গতি এসেছে। শহরের অলি গলিগুলো ইতিমধ্যেই সিসি ব্লকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। চলছে রাস্তাঘাটের দখলদারি হঠানোর কাজ; আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন তোরণের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলার কাজও সাঙ্গ হবে কয়েক দিনের মধ্যে।
এটা অনস্বীকার্য যে,শিলচর শহরের রাস্তাঘাটের উন্নতির শ্রীগনেশ হয়েছিল নমামি বরাক থেকে। মাঝখানে বর্ষার মরসুমে কিছুটা থমকে গিয়েছিলো কাজ। ইদানিং শহরের অলিগলি গুলো মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত বেশ ভালো ভাবেই গড়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ কাজ প্রায় সম্পন্ন, খুশি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার জনগণ। ইতিমধ্যে সদরঘাটে সুসজ্জিত নতুন বরাক সেতুরও উদ্বোধন হয়ে গেল।
এবার রাস্তাঘাটের দখলদারি নিয়ে জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল জেলা উপায়ুক্ত দপ্তর থেকে আরম্ভ করে কোর্ট, সদরঘাট, ক্যাপিটাল পয়েন্ট হয়ে কাছাড় কলেজ পর্যন্ত অবৈধ দোকানপাট হটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাকে এই অবৈধ দখল মুক্তির অভিযান জারি থাকবে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এই কাজে প্রশাসনকে সহায়তা করছে ডিডিএমএ অর্থাৎ ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। নতুন জেলা উপায়ুক্ত মাদ্দুরি ইতিমধ্যে প্রশাসনিক দক্ষতা এবং দৃঢ়তার পরিচয় রেখেছেন, এক্ষেত্রেও গতিশীল ভূমিকা পালন করছেন। আশা করা যাচ্ছে শিলংপট্টি, তারাপুর, সেন্ট্রাল রোড, নাজিরপট্টি রাঙ্গিরখাড়ি প্রভৃতি অঞ্চলে ফুটপাত দখল করে যারা বিপনী সাজিয়ে বসেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এমনিতেই আসছে চৈত্র সেল, হকারদের রাস্তায় বসতে না দিয়ে কোন একটা নির্দিষ্ট স্থান করে দিলে ভালো- যাতে পথচারীদের সেইলের দৌলতে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে না হয়।
সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারটাই হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ইতিমধ্যে অন্নপূর্ণা ঘাট এবং সদরঘাটকে সাজিয়ে তোলার জন্য বিশাল বিশাল আলোক স্তম্ভের ব্যবস্থা করা হচ্ছে,বসছে ওয়াচ টাওয়ার লাইট হাউস । ইতিমধ্যেই পৌরসভার তরফ থেকে টেন্ডার কল করা হয়েছে।
আসাম সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে শিলচর এলাকার উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১৫৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক লাইট, সিসিটিভি, পার্ক গার্ডেন, শহরাঞ্চলে নদীর পারের উন্নয়ন, ফাউন্টেন, স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ, বাজার এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, খেলার মাঠের সংস্কার প্রভৃতি।
প্রকল্পের কাজ রূপায়ণে থাকছে পুরসভা, পূর্ত বিভাগ, জল সম্পদ বিভাগ, বন বিভাগ, টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং প্রভৃতি বিভিন্ন দপ্তর।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে সোলার স্ট্রিট লাইট,ওয়াচ টাওয়ার,লাইট হাউস সদরঘাটে। সাথে আছে ভিউ পয়েন্ট ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, নদীর পাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি,পুকুরের উন্নয়ন ও সংস্কার, ২১ টি আধুনিক পাবলিক টয়লেট, ওপেন এয়ার জিম। আরো আছে শিলচর নর্মাল স্কুলের পুরনো ভবনকে হেরিটেজ ভবন হিসেবে সংরক্ষণ করা প্রভৃতি। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শহরের শ্রীবৃদ্ধির এই প্রকল্প গুলো সঠিকভাবে রূপায়িত হলে জনজীবনে এক ব্যাপক পরিবর্তন আসবে এমনটা আশা করা যেতে পারে।
Comments are closed.