প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন দিলীপ কুমার, ক্ষুব্ধ খিলঞ্জীয়া মঞ্চ
শিলচর লোকসভা আসনের নির্দল প্রার্থী দিলীপ কুমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন শুক্রবার । তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ঘিরে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ খিলঞ্জীয়া মঞ্চ। উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকা চা জনগোষ্ঠী উন্নয়ন মঞ্চ ও অসম খিলঞ্জীয়া সুরক্ষা সমিতির সমর্থনে দিলীপ কুমার তার মনোনয়নপত্র পেশ করেছিলেন।
সংবাদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার দিলীপ কুমার জানান বরাক উপত্যকার চা জনজাতি সম্প্রদায়ের হিতের জন্য তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিগত অনেক বছর ধরে চা জনজাতি সম্প্রদায়ের অগ্রগতি- উন্নতির জন্য তিনি আওয়াজ তুলে চলেছেন।এবার, বিভিন্ন সংস্থা তার মনোনয়ন পেশের ব্যাপারে শুভেচ্ছা সহযোগিতা জানিয়েছিল, এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এক পত্র মারফত তাকে গুয়াহাটি গিয়ে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি দল গুয়াহাটিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে দেখা করে তার বক্তব্য পেশ করেছিলেন। বিশ্বশর্মা তার বক্তব্য শুনে তা যথাযথভাবে বিবেচিত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন, যেহেতু আদর্শ নির্বাচনী বিধি বহাল আছে তাই এই মুহূর্তে সরকার এই ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না। নির্বাচনের পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এই আশ্বাসের পরই তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
এখানে উল্লেখ্য, দিলীপ কুমারের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে শিলচর আসনে এখন ১৩ জন প্রার্থী রইলেন। উল্লেখযোগ্যরা হলেন, রাজদীপ রায় (বিজেপি), সুস্মিতা দেব (কংগ্রেস) নাজিয়া ইয়াসমিন মজুমদার (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) হিতব্রত রায় (তৃণমূল কংগ্রেস) বদরুল ইসলাম বরভূঁইয়া (ফরওয়ার্ড ব্লক) শ্যাম দেও কুর্মী (এসইউসিআই) প্রমূখ।
এদিকে করিমগঞ্জ আসনে ৫ জন নির্দলীয় প্রার্থী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। শুক্রবার বোরন শুক্লবৈদ্য, কেশব লাল দাস, পুলক মালাকার, সঞ্জয় রায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে ছিলেন উত্তম কুমার দাস। তাই করিমগঞ্জ সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত ১৪ জন প্রার্থী রইলেন। এটা নির্বাচনী ব্যবস্থায় নিযুক্ত কর্মীদের জন্য সুসংবাদ, কারন একটা ইভিএম দিয়েই কাজ চালানো যাবে।
Comments are closed.